রবিবার । ১৪ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

মাঠে পাকা ধানের হাসি, উৎফুল্ল কৃষক

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা

খুলনা জেলায় বটিয়াঘাটা উপজেলার চলতি আমন মৌসুমে বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আশানুরূপ ফসলের ফলন পেয়ে কৃষকরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সবুজে মোড়া মাঠের পর মাঠ বর্তমানে পাকা সোনালী ধানের ঢেউ। পাকা ধান গাছের দোলায় দুলছে কৃষকের মন। নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দে তাঁদের মুখে তৃপ্তির হাঁসি।

আবহাওয়া অনুকূল ও পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম থাকায় এবং মাঠে কৃষি কর্মকর্তা তৎপরতা থাকায় এবার ধান চাষে লাভবান হবে বলে আশা করছেন এখানকার স্থানীয় কৃষকেরা। নানা কারণে স্থানীয় জাতের ধানের ফলন আশানুরূপ না হওয়ায় আমনের উচ্চ ফলনশীল ব্রি জাতের ধানের দিকে ঝুঁকছে এখানকার কৃষকরা।

জলমা ইউনিয়নের শুড়িখালী গ্রামের কৃষক মোঃ হেমায়েত হোসেন বলেন, “আমি ব্রি ৮৭ জাতের ধান লাগিয়েছি ১১ বিঘা জমিতে, সার ও কীটনাশক ব্যবহার করেছি। তবে গত বছরের তুলনায় অনেক কম, এ জমিতে খামারী অ্যাপ ব্যবহার করে সার ব্যবহার করেছি ফলে প্রতি বিঘা জমিতে ১৮ থেকে ২০মণ ধান পাব বলে আশা করছি।”

হরিনটানা গ্রামের কৃষক মোঃ তৈয়েবুর রহমান জানান, “এবার আমি নতুন ব্রি ধান ১০৩ চাষ করেছি। ফলন পেয়েছি বিঘা প্রতি ২১ মন এতে আমরা খুশি।” চক্রাখালী গ্রামের কৃষক মৃনাল টিকাদার বলেন, “আমি স্থানীয় সুগন্ধি জাতের ধান চাষ করেছি। স্থানীয় জাতের ধান সবেমাত্র পাকা শুরু করেছে। কয়েক দিন পর স্থানীয় জাতের ধান কাটা শুরু হবে। তবে আশা করছি এবছর অন্যান্য বছরের তুলনায় অধিক ফলন হয়েছে।”

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জীবানন্দ রায় বলেন “আমরা কৃষকদের সাথে দলীয় আলোচনা ও বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করছি যাতে ধানের সর্বোচ্চ ফলন নিশ্চিত করা যায়। কয়েকটি নমুনা শস্য কর্তন করলাম তাতে হেক্টর প্রতি ফলন পেয়েছি প্রায় ৫.৫ মেট্রিক টন।”

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, “চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় এ বছরে ১৭ হাজার ৪০০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো এবং তা শতভাগ জমিতে আমন ধান চাষ হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “এবছর অনুকূল আবহাওয়া ও কীটপতঙ্গের তেমন কোনো আক্রমণ না থাকায় আমন ধানের ফলন ভালো হয়েছে।”

কৃষকেরা এখন মাঠে ধান কাটায় ব্যস্ত রয়েছেন। তবে এর মধ্যে বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না এবং কৃষকদের উৎপাদিত ফসল সময় মতো ঘরে তুলতে পারলে বাম্পার ফলন পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উপজেলায় এ বছর আমন ধানের ফলন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন। যা লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন