নগরীর ফুলবাড়িগেট এলাকার ছিনতাইয়ের ঘটনার দু’সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও মালামাল উদ্ধার বা আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। খানজাহান আলী থানা এলাকায় সংঘটিত এ সকল অপরাধ কর্মকাণ্ডে এলাকার চিহ্নিত মাদকসেবিদের সম্পৃক্ততার কথা জানালেন এলাকাবাসী। এ ব্যাপারে পুলিশের নিষ্ক্রিয় ভূমিকাকে দূষছেন তারা।
ভূক্তভোগীরা জানায়, “ঘটনার দিন রেক্সোনা পারভীন দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসী ছেলেকে ঢাকা এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে পুত্রবধূকে নিয়ে রাত আনুমানিক ৩টা ২৫ মিনিটে ফুলবাড়িগেট কুয়েট সড়কের প্রবেশদ্বারে গাড়ি থেকে নামেন। এরপর তারা দু’জনে ভ্যানযোগে পুত্রবধূর বাপের বাড়ি পশ্চিম দিঘির পাড়ের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। প্রতিমধ্যে বাড়ি সংলগ্ন খলিফা বাড়ির মোড়ে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৩/৪ ছিনতাইকারী তাদের গতিরোধ করে। এ সময় তারা ছুরি, চাপাতি, রামদা দেখিয়ে চিৎকার করলে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে দু’জনের কাছে থাকা স্বর্ণালংকার, দামি মোবাইল, নগদ অর্থসহ যাবতীয় মালামাল ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য ৭ লাখ টাকা। এ সময় একজন ছিনতাইকারী অপর ছিনতাইকারীর নাম আশিক বলে ডাক দেয়। আনুমানিক বয়স ১৮ থেকে ২৫ হবে, মুখে মাফলার বাঁধা ছিল। যেটা বাদী তার মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন।”
স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এলাকাটিতে মাদক, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। পুলিশি তৎপরতা জোরদার না থাকার কারণে অপরাধ বাড়ছে।
মামলার বাদী রেক্সোনা পারভীন বলেন, “ঘটনার দু’সপ্তাহ পার হলেও মামলার কোনো অগ্রগতি, আসামি গ্রেপ্তার, মালামাল উদ্ধারে কোনো তৎপরতা নেই। এ নিয়ে আমরা হতাশ।”
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইশতিয়াক বলেন, “ছিনতাইয়ের ঘটনাটি আমরা গুরুত্বের সাথে নিয়েছি। আসামি সনাক্তকরণসহ গ্রেপ্তারের যাবতীয় কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। আশা করি খুব দ্রুতই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের সনাক্ত করে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হব।”
খুলনা গেজেট/এনএম

