ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র এবং ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি গাড়ি হাসপাতাল এলাকায় প্রবেশ করে।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় ওসমান হাদি দুর্বৃত্তদের গুলিতে গুরুতর আহত হন। তার বাম কানের নিচে গুলি লাগলে গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।
হাদির শারীরিক অবস্থা নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. মোস্তাক আহমেদ জানান, ওসমান হাদিকে যখন জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়, তার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক ছিল। পরে তাকে সিপিআর দেয়া হয়। এখন একটু প্রেসার ভালো আছে। তবে তার মাথার ভেতরে গুলি আছে, কানের আশেপাশে গুলি লেগেছে।
এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এক বিবৃতিতে তিনি আহত ওসমান হাদির সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। বিবৃতিতে তিনি ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ, প্রত্যক্ষদর্শীর তথ্য গ্রহণ, সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা এবং হামলার পেছনে কোনো সংগঠিত পরিকল্পনা থাকলে, তা উন্মোচনের জন্য তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নিতে বলেন।
হাদির গুলিবিদ্ধের ঘটনা নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) সাদিক কায়েম এক বিবৃতিতে বলেন, তফসিল ঘোষণার পরদিনই রাজধানীতে প্রার্থীকে প্রকাশ্যে গুলি করা খুবই অশনিসংকেত। তিনি বলেন, পতিত ফ্যাসিস্টরা এই নির্বাচন প্রতিরোধে ইতোমধ্যে নানান কর্মসূচি ও হুমকি দিয়েছে। ফ্যাসিস্টদের দেশি-বিদেশি দোষররাও আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে দিতে চায় না। এ অবস্থায় প্রার্থীর ওপর হামলায় নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তা প্রশ্নে আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারকে আহ্বান জানিয়ে ডাকসু ভিপি বলেন, অতিসত্ত্বর এই হামলাকারীকে চিহ্নিত করতে হবে এবং একই সাথে এই ঘটনার পেছনের রাজনৈতিক মোটিভ উদ্ঘাটন করে জাতিকে জানাতে হবে। একইসঙ্গে আহ্বান জানাব, দলমত নির্বিশেষে যেসব প্রার্থী নির্বাচনি প্রচারের জন্য মাঠে থাকবেন, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
খুলনা গেজেট/এএজে

