শুক্রবার । ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

পাঠ্য পুস্তকে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের অসম্পূর্ণ জীবনী

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

আমার বাংলা বই। পঞ্চম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড, বাংলাদেশ এর প্রকাশক। ২০১২ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত পাঠ্য পুস্তকটি মোট চারবার মুদ্রণ, পূর্নমূদ্রণ ও পরিমার্জিত সংস্করণ হয়েছে। এ পাঠ্যপুস্তকের একটি প্রবন্ধ ‘বীরের রক্তে স্বাধীন এ দেশ’ এতে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ ও বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিনের সংক্ষিপ্ত পরিচিতি স্থান পেয়েছে।

প্রবন্ধে বলা হয়েছে, দিনটি ছিলো একাত্তরের ১০ ডিসেম্বর। মোংলা বন্দর দখল করে বিএনএস পলাশ এবং বিএনএস পদ্মা নামক দুটি জাহাজ খুলনা দখল করতে এগিয়ে আসে। জাহাজ দু’টি খুলনার কাছাকাছি এলে বোমারু বিমান থেকে জাহাজ দুটির ওপর বোমা পড়ে। জীবন বাঁচাতে বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন নদীতে ঝাপ দেয়। রাজাকারদের হাতে নির্মমভাবে তার মৃত্যু হয়।

পাঠ্যপুস্তক বোর্ডেও চেয়ারম্যান প্রফেসর একেএম রিয়াজুল হাসান, এ পাঠ্যপুস্তকের প্রসঙ্গ কথায় উল্লেখ করেন, “২০২৪ সালে পরিমার্জন করা হয়। সময়ের স্বল্পতার কারণে ভুল ত্রুটি থাকতে পারে।”

এ প্রবন্ধ সম্পর্কে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খুলনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক মোঃ আবু জাফর বলেন, “এটি দায়সারা। কোথায় দাফন হয়েছে, এ কথা প্রবন্ধে উল্লেখ নেই। আজকের প্রজন্মকে সঠিক ইতিহাস জানানো হল না। বীরশ্রেষ্ঠকে পূর্ব রূপসা খেয়াঘাটের পাশে দাফন করা হয়।

তিনি তথ্য দিয়েছেন, নগরীর বানরগাতি এলাকার মিয়াজান সরদারের পুত্র নূরু সরদার এ বীরশ্রেষ্ঠকে পিটিয়ে হত্যা করে। তখন সে রূপসায় রাজাকারের কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করত। জীবদ্দশায় গর্বের সাথে এ কথা বারবার বলেছে। এ বছরের মার্চ মাসে তার মৃত্যু হয়। তার গ্রামের বাড়ি ডুমুরিয়ার ধামালিয়া গ্রামে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন