শুক্রবার । ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

দৌলতপুর মুহসিন মহিলা কলেজে নিয়োগ, দুর্নীতির দায় নিতে রাজি নয় কোনো পক্ষ!

নিজস্ব প্রতিবেদক

দৌলতপুর মুহসিন মহিলা কলেজে উপাধ্যক্ষসহ ৭ পদে নিয়োগে অনিয়ম, ১ কোটি ২১ লাখ টাকা দুর্নীতিসহ অনিয়ম, অস্বচ্ছতা, প্রশ্নপত্র ফাঁস, অর্থ লেনদেনসহ নানাবিধ অভিযোগ ওঠে। ১৩ জুন নিয়োগ পরীক্ষার ওই দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয়, জাতীয় এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। এ ঘটনার পর থেকে কলেজে অস্থিরতা বাড়তে থাকে। শিক্ষক এবং ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের মধ্যে দু’টি পক্ষের সৃষ্টি হয়। এক পক্ষ অন্যপক্ষকে ঘায়েল করতে বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়াতে থাকে। এসব নিয়ে কলেজের শিক্ষার্থীদের লেখা-পড়ায়ও প্রভাব পড়তে থাকে।

এসব অভিযোগের বিষয়ে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মোঃ আব্দুল লতিফ খুলনা গেজেটকে বলেন, “৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর ২৪ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মনোনীত হন বামপন্থী নেতা ও সাবেক ৫ নং ওয়ার্ড কমিশনার শেখ কামরুজ্জামান। সভাপতি মনোনীত হওয়ার কিছুদিন পর আমার কাছে কলেজের শূন্য পদের তালিকা চান। আমি তাকে বলি বিধি অনুযায়ী এডহক কমিটি নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে না। সেক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠিত হলেই কেবল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যেতে পারে। এরপর তিনি আমাকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করতে বলেন। বিধি অনুযায়ী এডহক কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস পূর্বে সভাপতির পছন্দমতো ব্যক্তিদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করেন। এরপর কলেজের উপাধ্যক্ষসহ ৮ টি শূন্য পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। পরবর্তীতে ১৩ জুন শুক্রবার নিয়োগ পরীক্ষার দিন ধার্য করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র বিতরণ করার পর থেকে অজ্ঞাত কারণে তিনি নিয়োগসংক্রান্ত ব্যাপারে আমার সঙ্গে সকল যোগাযোগ বন্ধ করে দেন।”

তিনি আরও বলেন, “নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে জড়িত এক সদস্যের কাছ থেকে জানতে পারি উপাধ্যক্ষসহ ৭ জনের নিয়োগে ৮০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। কে কত টাকা নিয়েছেন, সেটার তালিকা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তদন্তে আসা দু’জনের কাছে আমি আমার লিখিত বক্তব্যে প্রদান করেছি।”

অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে সম্পৃক্ত থাকলেও প্রশ্নপত্র ফাঁস, অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ লেনদেনের সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। উপাধ্যক্ষসহ ও ৭ জন কর্মকর্তা কর্মচারী নিয়োগ অনুমোদনের সভা না করার কারণে সভাপতি আমার উপর ক্ষিপ্ত হয় এবং আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ১ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ৬৭৪ টাকার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে তুলে অবসরে যাওয়ার ১৪ দিন পূর্বে এক নোটিশে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে আমাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন