শুক্রবার । ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২
বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল

দীর্ঘ ১১ মাস বন্ধ আইসিইউ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাগেরহাট

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (আইসিইউ) থাকলেও জনবলের অভাবে চালু করতে পারছেনা কর্তৃপক্ষ। আইসিইউ না থাকায় জেলার মুমূর্ষু রোগীদের প্রতিনিয়ত যেতে হয় খুলনাসহ বিভিন্ন বড় শহরে। সেখানে অতিরিক্ত টাকা ব্যয় ও হয়রানিতো রয়েছেই। নিয়মিত আই সি ইউ ইউনিট চালু না থাকায় মূল্যবান যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে। প্রস্তুত থাকা আইসিইউ চালু করার দাবি সচেতন মহলের।

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের ৭ম তলায় থাকা আইসিইউ ইউনিটে আছে আইসিইউ বেড, ভেন্টিলেটর, হার্ট মনিটর, ইনফিউশন পাম্প, ডিফিব্রিলেটর, রক্তের গ্যাস বিশ্লেষকসহ নানা ধরণের যন্ত্রপাতি। এর সাথে রয়েছে অক্সিজেন থেরাপি মেশিন, ফিডিং টিউব, শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ও উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রেফ্রিজারেটরসহ আইসিইউ পরিচালনার আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি। এর সামনেই রয়েছে আধুনিক অভ্যর্থনাকক্ষ, চিকিৎসক ও সেবিকা কক্ষ। তবে কোটি কোটি টাকার এসব মেশিনারিজ ও শয্যা থাকলেও, ১১ মাস ধরে কোন মুমূর্ষু রোগী এই আইসিইউ ইউনিটের সেবা পায়নি।

দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহৃত পড়ে থাকায় মূল্যবান এসব যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি বাড়ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, করোনা কালে ২০২১ সালের ২৩ এপ্রিল বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে তিনটি শয্যার মাধ্যমে আইসিইউ সেবা চালু করা হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন সময় আরও ৭টি শয্যা যুক্ত করে ২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর মোট ১০ শয্যার আইসিইউ ইউনিট উদ্বোধন করা হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত আইসিইউ ইউনিট চালু ছিল। প্রকল্প শেষ হওয়ায় জনবলও উঠিয়ে নেয় মন্ত্রণালয়।

সুজন সাধারণ সম্পাদক এস কে এ হাসিবুর রহমান বলেন, “প্রায় ২০ লাখ মানুষের জেলার একমাত্র আইসিইউ সেবা চালু না থাকায় মুমূর্ষ রোগীদের যেতে হয় খুলনাসহ বড় শহরে। যার ফলে রোগীদের ভোগান্তি ও ব্যয় দুটোই বেড়ে যায়। অনেক সময় টাকার অভাবে খুলনা না নিয়ে এখানে থেকে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করেন অনেক দরিদ্র রোগী ও তাদের স্বজনরা। মূল্যবান এসব যন্ত্রপাতি ফেলে না রেখে যতদ্রুত সম্ভব ইউনিট চালু করা প্রয়োজন।”

বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ অসীম কুমার সমাদ্দার বলেন, “করোনা কালিন একটি প্রকল্প থেকে জনবল দিয়ে আই সি ইউ চালু করা হয়েছিল। প্রজেক্ট শেষ হওয়ায় এখন নতুনকরে ১০ শয্যার আইসিইউ চালাতে তিন জন কনসালটেন্ট, চার জন মেডিকেল অফিসার, ১২ জন নার্স ও ১৬ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী প্রয়োজন। সরকার জনবল দিলে আবারও আইসিইউ চালু করার আশ্বাস দেন হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন