তদন্তের মধ্যে সীমাবদ্ধ রয়েছে আমার দেশ পত্রিকার খুলনার দু’সাংবাদিকের ওপর হামলা মামলার অগ্রগতি। গত ৮ নভেম্বর নগরীর শিববাড়ি মোড়ে দুর্বৃত্তের হামলার শিকার হন পত্রিকাটির খুলনা ব্যুরো প্রধান এহতেশামুল হক শাওন এবং স্টাফ রিপোর্টার কামরুল হোসেন মনি। এক মাস অতিবাহিত হলেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
হামলার শিকার হওয়া এহতেশামুল হক শাওন বলেন, “পরিচিত এক ছোট ভাইয়ের পারিবারিক বিষয় জানতে হামলাকারীদের একজনকে ঘটনার আগের দিন ফোন দিয়েছিলাম। বিপরীত দিক থেকে অকথ্য ভাষায় তাকে গালাগালি করা হয়। এক পর্যায়ে মীমাংসার জন্য তাকে শিববাড়ি মোড়ে ডাকা হয়। ৮ নভেম্বর বিকেলে স্টাফ রিপোর্টার কামরুল হোসেন মনিকে সাথে নিয়ে শিববাড়ি সুলতান ডাইনের কাছে অবস্থান করি। এ সময় বিপ্লব নামে এক যুবকের সাথে কথা শেষ হওয়ার একপর্যায়ে তার সাথে থাকা আরও কয়েকজন যুবক আমার ওপর হামলা চালায়। সহকর্মী কামরুল মনি এগিয়ে এলে তাকে মারধর করতে থাকে ওই দুর্বৃত্তরা। মারধর শেষ হওয়ার পর একটি মাইক্রোযোগে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। মনির অবস্থা খারাপ থাকায় উপস্থিত জনতা তাদের দু’জনকে চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এ ঘটনার একদিন পর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।”
আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় তিনি অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, “এ মামলা নিয়ে আমার আর কোন মাথা ব্যাথা নেই।” কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “সাংবাদিক সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকের ওপর হামলা নিন্দনীয় ব্যাপার। একমাস হলো, অথচ কোনো আসামি গ্রেপ্তার নেই। তাহলে সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রে কোন ধরনের ব্যবস্থা পুলিশ নিবে তা বোঝা গেছে।”
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুবেল মাহন্ত বলেন, “হামলার পরপরই ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ফুটেজ সংগ্রহ করে আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক শাওনকে পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু তিনি তাদের সনাক্ত করতে পারেননি। বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।”
সোনাডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ কবির হোসেন বলেন, “অজ্ঞাত পরিচয়ে ১০-১১ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে সাংবাদিক শাওন মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।”
খুলনা গেজেট/এনএম

