দাখিলের নির্বাচনী পরীক্ষার আগেই প্রশ্ন শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন মাদ্রাসা সুপার। ঘটনা জানাজানি হওয়ায় পরীক্ষা নেওয়া হয় হাতে লেখা প্রশ্নে। এ কাণ্ডের নায়ক ডুমুরিয়া আন্দুলিয়া কাদিরিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার এ এম খায়রুল ইসলাম। তবে রেহাই পাননি। এলাকাবাসী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর করেছেন লিখিত নালিশ। ঘটনা তদন্তে মাঠে নেমেছেন একাডেমিক সুপারভাইজার।
গেল ২৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে ওই প্রতিষ্ঠানে দাখিল পরীক্ষার নির্বাচনী পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শুরুর ৩ দিন আগেই আরবি দ্বিতীয় পত্রের প্রশ্ন সুপার এ এম খায়রুল ইসলাম শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেন। ওই বিষয়ের ক্লাস নেন তিনি। ঘটনাটি জানাজানি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিবাশীষ বিশ্বাস ও রঘুনাথপুর তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শেখ শাহাজান আলী মাদ্রাসায় তদন্তে যান। তবে ১০ দিন অতিবাহিত হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় গতকাল রবিবার এলাকাবাসী প্রশ্নপত্র ফাঁসের সঠিক তদন্তের দাবিতে লিখিত আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দিবাশীষ বিশ্বাস বলেন, “পরীক্ষা শুরুর দিন ওই প্রতিষ্ঠানে সরেজমিন গিয়ে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে গতকাল এলাকাবাসী একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। একাডেমিক সুপারভাইজারকে ঘটনাটি তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ জহুরুল ইসলাম বলেন, “মৌখিক অভিযোগ পেয়ে প্রাথমিক তদন্তে শিক্ষা অফিসারকে পাঠানো হয়েছিল। হাতে লেখা প্রশ্ন সম্পর্কে তার কাছে কেউ অভিযোগ করেননি বলে তিনি জানান। ঘটনার সত্যতা পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ বলেন, “এমন ঘটনা হলে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” প্রতিষ্ঠানটির সভাপতি এ এম ফিরোজ বাবুল বলেন, “প্রশ্নপত্র আগে দেওয়ার ঘটনা ঘটলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তবে মাদ্রাসাটির সুপার এ এম খায়রুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “ওসব আজেবাজে কথা। শত্রুপক্ষ মাদ্রাসার সুনাম নষ্ট করার জন্য এসব কাল্পনিক কথা বলছেন।” তবে হাতে লেখা প্রশ্নে সকল পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রথম দিনের পরীক্ষা ছাপানো কাগজে হয়েছে। যার সাথে পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণকৃত প্রশ্নের কোড নম্বরে মিল ছিল। তবে হাতে লেখা যে প্রশ্নে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে তার কোড নম্বর ভিন্ন।
খুলনা গেজেট/এনএম

