শুক্রবার । ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

আদালতের সামনের জোড়া হত্যা মামলা তদন্তে রশি টানাটানি

গেজেট প্রতিবেদন

নগরীর আদালতের সামনের সড়কে জোড়া হত্যা মামলা তদন্তে শুরু হয়েছে রশি টানাটানি। ভয়ে ও আতঙ্কে মামলা করেনি নিহত দুই পরিবারের কেউ। ৪ দিন পর পুলিশ বাধ্য হয়ে অজ্ঞাতদের নামে মামলা দায়ের করে। পুলিশের দাবি আটক রিপন নিষিদ্ধ ইহুদি গ্রুপের সদস্য এবং ডাবল হত্যায় জড়িত। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের দাবি তিনি নির্দোষ।

গত রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় খুলনা আদালত চত্বরের প্রধান ফটকের সামনে হাসিব হাওলাদার ও ফজলে রাব্বি রাজনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। প্রকাশ্যে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায় খুনিরা। এ হত্যাকাণ্ডে পুলিশ রিপন নামে একজনকে আটক করেছে। তবে নিহত হাসিবের ভাই সুমন হাওলাদার খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে তাকে নির্দোষ দাবি করেন।

তিনি বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে রিপন ওই সময় ফলতিতায় মাছের আড়তে ছিল।”

কেন মামলা করেননি গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ভয়ে এবং আতঙ্কে আমরা মামলা করতে সাহস পাইনি। আমরা বিচার আল্লাহর কাছে দিয়েছি।”

এদিকে পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, সিসি টিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে খুনিদের শনাক্ত করা হয়েছে। আদালত ও আশপাশের সকল প্রতিষ্ঠানের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।

পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, “হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত সন্দেহে রিপনকে আটক করা হয়। আটক করার পরে দাবি করা হয়েছে তিনি মাছ কেনায় ব্যস্ত ছিলেন। একটি ভিডিও দেখানো হচ্ছে। কোন দোকানে বা কোথায় মাছ কিনছেন তেমন কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি রিপনের পক্ষ থেকে। ভিডিও তারিখ ও সময় দিয়ে তৈরি করা যায়।”

মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) ত ম রোকনুজ্জামান বলেন, “আমরা অনুরোধ করার পরেও নিহতের পরিবার মামলা করেনি। উল্টো নিহতের ভাই আটক ব্যক্তির পক্ষে সংবাদ সম্মেলন করছে।”

এদিকে সদর থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, “রাজনের পরিবার গতকাল মটর সাইকেল ছাড়াতে থানায় আসে। অথচ গত ৪/৫ দিন ধরে তাদের মামলা করার অনুরোধ করেও থানায় আনা যায়নি।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন