শুক্রবার । ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৫ । ২৭শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

বাংলাদেশে ভূকম্পন ঝুঁকি : কেন দ্রুত প্রস্তুতি দরকার?

মোঃ রাসেল হোসেন

ভূমিকম্প (সাধারণ অর্থে ভূমির কম্পন) ভূ-তত্ত্ব বা জিওলজি বিষয়ের অন্তর্গত। ​বৈজ্ঞানিক ভিত্তি অনুযায়ী, ভূমিকম্প হয় প্লেট টেকটোনিকের সংঘর্ষের ফলে। পাশাপাশি দুটি মহাদেশীয় প্লেটের সীমান্ত অঞ্চলে যে প্রবল পীড়নের সৃষ্টি হয়, সেই পীড়ন যখন বড়োসড়ো চ্যুতির সৃষ্টি করে এবং তার অন্তর্নিহিত শক্তি বের করে দেয়, তখনই ভূমিকম্পের সৃষ্টি হয়। ভূপৃষ্ঠে বা ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি গভীরতায় বড় মাত্রার বিস্ফোরণ ঘটলে মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার ভূমিকম্পের উৎপত্তি হতে পারে। ১শ’ বছরের ভূমিকম্পের ইতিহাসে ছোট-বড় অনেক ভূমিকম্প বাংলাদেশে আঘাত হেনেছে, যা ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক সংকেত হিসেবে কাজ করা উচিত।

​ভূ-অভ্যন্তরে স্তুপ গ্যাস যখন ভূ-পৃষ্ঠের ফাটল বা আগ্নেয়গিরির মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে, তখন সেই গ্যাসের অবস্থানটি ফাঁকা হয়ে পড়ে। পৃথিবীর উপরের তলের চাপ ওই ফাঁকা স্থানে দেবে গিয়ে ভারসাম্য বজায় রাখে, আর তখনই ভূ-পৃষ্ঠে প্রবল কম্পনের অনুভব হয়, যা ভূমিকম্প নামে পরিচিত। সাধারণত তিনটি প্রধান কারণে ভূমিকম্পের উৎপত্তি হয়ে থাকে ভূ-পৃষ্ঠের হঠাৎ পরিবর্তন জনিত কারণে, আগ্নেয়গিরি সংঘটিত হওয়ার কারণে ও শিলাচ্যুতি জনিত কারণে।

ভূমিকম্পের স্থায়িত্ব সাধারণত কয়েক সেকেন্ড হয়ে থাকে। কিন্তু এই কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই হয়ে যেতে পারে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ। ভূমিকম্পের মাত্রা অনুযায়ী ব্যাপক প্রাণহানি ও ক্ষয়ক্ষতি হয়ে থাকে। ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ণয়ের জন্য যে যন্ত্র ব্যবহৃত হয়, তার নাম রিখটার স্কেল। রিখটার স্কেলে এককের সীমা ১ থেকে ১০ পর্যন্ত। এই স্কেলে মাত্রা ৫-এর বেশি হওয়া মানেই ভয়াবহ দুর্যোগের আশঙ্কা। ভূমিকম্প এক ডিগ্রি বৃদ্ধি পেলে এর মাত্রা ১০ থেকে ৩২ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ৫ – ৫.৯৯ মাঝারি, ৬ – ৬.৯৯ তীব্র, ৭ – ৭.৯৯ ভয়াবহ এবং ৮-এর উপর অত্যন্ত ভয়াবহ।

বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব ও দক্ষিণ এশিয়ার মাঝে অবস্থিত পৃথিবীর অন্যতম বৃহত্তম ব-দ্বীপ। ভূমির গঠন থেকে আমরা জানতে পারি—এই ভূখণ্ডের শতকরা ৮০ ভাগই প্লাবন সমভূমি। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র বিধৌত অঞ্চলে এই বিশাল সমভূমি গড়ে উঠেছে। অপরদিকে, দেশটিতে মাত্র ১২ শতাংশ পাহাড়ি উঁচু ভূমি রয়েছে।

​ব-দ্বীপটি গঠনশৈলিতে অনন্য হলেও মহাদেশীয় টেকটোনিক প্লেটের অবস্থানের কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে রয়েছে। ভূতত্ত্ববিদগণ বাংলাদেশের ভূমির তলদেশে এই গঠনের কারণে বারবার সতর্ক করে যাচ্ছেন।

চলতি বছরে বেশ কয়েকবার ভূমিকম্প হয়েছে বাংলাদেশে। দেশে গত কয়েক ঘন্টায় চারবার ভূমিকম্প হয়েছে। এর মধ্যে গত শনিবার সকালে একবার ও সন্ধ্যায় পরপর দুবার ভূকম্পন অনুভূত হয়। এর আগে গত শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে রাজধানীসহ আশপাশের এলাকা।

শুক্রবারের ভূমিকম্প সারা দেশেই অনুভূত হয়। ভূমিকম্পের সময় অনেকেই আতঙ্কে ঘরের বাইরে বেরিয়ে আসেন। এতে শিশুসহ ১০ জন নিহত ও ছয় শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। সবচেয়ে বেশি পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে নরসিংদীতে। ঢাকায় চার ও নারায়ণগঞ্জে একজন মারা যান। ভূমিকম্পের সময় আতঙ্কে অনেকেই ভবন থেকে লাফিয়ে পড়েন। এ ছাড়াও কিছু ভবন হেলে পড়ে ও ফাটল দেখা দেয়।

পরদিন শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীতে পরপর দুটি ভূমিকম্প হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, এদিন সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৪ সেকেন্ডে রিখটার স্কেলে ৩ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়। এর এক সেকেন্ড পর সন্ধ্যা ৬টা ৬ মিনিট ৫ সেকেন্ডে দ্বিতীয়বার ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে এটির মাত্রা ৪ দশমিক ৩। একটির উৎপত্তিস্থল বাড্ডায়, আরেকটির উৎপত্তিস্থল নরসিংদীতে। ঘন ঘন দেশটা কেঁপে উঠলে তো একটু ভয়ের ব্যাপার।

বাংলাদেশে ভূমিকম্প একেবারেই অস্বাভাবিক নয়। এর আগেও বহুবার এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্নটা অন্য জায়গায় বাংলাদেশ তো সমতল ভূমি, তাহলে বারবার ভূমিকম্প হওয়ার কারণটা কী? বাংলাদেশের অবস্থানই কি এর মূল কারণ? ভবিষ্যতে কি বাংলাদেশে বড়সড় ভূমিকম্প হতে পারে?

বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের এক যৌথ গবেষণায় দেখা যায়, ভারতের আসামে ১৮৯৭ সালে রিখটার স্কেলে ৮ দশমিক ৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ঢাকা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দূরে। ওই সময় ঢাকায় মাত্র ১০০টি পাকা দালান ছিল, অধিবাসী ছিল ৯০ হাজার। ওই ভূমিকম্পে আহসান মঞ্জিলসহ ১০টি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলছেন, সক্রিয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগ¯লে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাপক ভূমিকম্পের ঝুঁকির মুখোমুখি। এখানকার ঘনবসতি, পুরোনো অবকাঠামো এবং বিল্ডিং কোডের দুর্বল প্রয়োগ এই বিপদগুলোকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। অবিলম্বে পদক্ষেপ না নেওয়া হলে ভবিষ্যতের জন্য একটি ভয়াবহ দৃশ্য অপেক্ষা করছে। ভূমিকম্পে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের তালিকায় ঢাকা অন্যতম। ২০১৩ সালের রানা প্লাজা ধসের ভয়াবহ ঘটনা এখনও স্মরণ করিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় ১ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারান। এই ঘটনাটি দুর্বলভাবে নির্মিত ভবনগুলোর সৃষ্ট বিপদের ভয়াবহ উদাহরণ।

২​০১৮ সালের এক জরিপে দেখা গেছে, মিরপুর, মোহাম্মদপুর, পল্লবী, রামপুরা, মতিঝিল ও খিলগাঁওয়ের মতো এলাকার অনেক স্থাপনা কাঠামোগত ও নকশার মান পূরণে ব্যর্থ। এর মধ্যে পুরান ঢাকার ৯০ শতাংশ ভবন ৭ মাত্রার ভূমিকম্পে ধসে পড়ার শঙ্কা রয়েছে বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। এছাড়াও চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সিলেটের জৈন্তাপুর চরম ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব এলাকায় একটি উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প অকল্পনীয় মাত্রার বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
​বেশ কয়েকটি সক্রিয় ফল্ট লাইনসহ টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষ অঞ্চলে বাংলাদেশের অবস্থান দেশটিকে উল্লেখযোগ্য ঝুঁকিতে ফেলেছে। ঐতিহাসিকভাবে, এই অঞ্চলে বিধ্বংসী ভূমিকম্প হয়েছে, ১৮৬৯ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে পাঁচটি বড় ঘটনা রিখটার স্কেলে ৭-এর ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। এরপর থেকে উচ্চমাত্রার ভূমিকম্প স্তিমিত হয়ে আসছে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে ভূমিকম্পে বিপর্যয়ের আগে এই নীরবতা থাকতে পারে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূমিকম্পের আঘাত উদ্বেগজনকভাবে বাড়তে দেখা গেছে। ২০২৪ সাল থেকে রেকর্ড করা ৬০টি ভূমিকম্পের মধ্যে তিনটি ৪ মাত্রার ওপরে এবং ৩১টি ৩ থেকে ৪ মাত্রার মধ্যে ছিল। এই ঊর্ধ্বগতি, শহর এলাকায় বিস্তৃতি এবং অপর্যাপ্ত অবকাঠামোর সঙ্গে সম্পর্কিত জাতিকে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তুলে ধরছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

ভূমিকম্প এমন একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। প্রতিরোধ বা ঠেকিয়ে রাখাও সম্ভব নয়। বরং যা করা যেতে পারে, তা হলো গবেষণার মাধ্যমে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল শনাক্ত করে ওই অঞ্চলে ভূমিকম্প সহনীয় অবকাঠামো তৈরি করা। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা, যাতে ভূমিকম্প আঘাত হানলে জান ও মালের ক্ষয়ক্ষতি কম হয়।

জাপান একটি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ। সেখানে তারা রিখটার স্কেলে ১০ মাত্রার ভূমিকম্পেও ভবন ভেঙে না পড়ার প্রযুক্তি ব্যবহার করছে। অধিক ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় বহুতল ইমারত তৈরি হচ্ছে যাচ্ছেতাইভাবে। বিল্ডিং কোড সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। ভূমিকম্প সংগঠিত হলে এর পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকা দরকার।

​আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণাকেন্দ্রের হিসাব অনুযায়ী, ২০১৭ সালে বাংলাদেশে এবং কাছাকাছি এলাকায় ২৮টি ভূমিকম্প হয়। ২০২৩ সালে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়ায় ৪১টি এবং গত ২০২৪ সালে দেশে ও আশপাশে ৫৩টি ভূমিকম্প হয়েছে। এটি ছিল আট বৎসরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এমতাবস্থায় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোট ও মাঝারি ভূকম্পনের কারণে যেকোনো সময় একটি বড় ভূমিকম্প সংঘটিত হতে পারে। তাদের মতে, সাত মাত্রার ভূমিকম্পগুলি ফেরত আসার সময় হয়ে গেছে। এই আশঙ্কা সত্য হলে রাজধানী ঢাকার ৪০ শতাংশ বাড়িঘর ধ্বংস হতে পারে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস-এর তথ্য মতে, বাংলাদেশ ভূকম্পনের সক্রিয় এলাকায় অবস্থিত। দুর্যোগ সূচক অনুযায়ী, বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্পের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে রয়েছে ঢাকা। কারণ ঢাকার অতি ঘনবসতি, জনঘনত্ব ও অপরিকল্পিত নগরায়ন রাজধানী ঢাকাকে অতি ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। তাদের মতে, ঢাকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে মাঝারি বা ৭ মাত্রার ভূমিকম্পই যথেষ্ট। ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞগণ আরও বলছেন, বার্মিজ প্লেট ও ইন্ডিয়ান প্লেটের পরস্পরমুখী গতির কারণেই ঘন ঘন এই ধরনের ভূমিকম্প হচ্ছে। এই দুইটি প্লেটের সংযোগস্থলে প্রচুর পরিমাণে শক্তি জমা হয়েছে, যা বড় ধরনের ভূমিকম্প সংঘটনের মাধ্যমে বের হয়ে আসতে পারে।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে ‘দুর্যোগ আইন’ রয়েছে, যা বিশ্বের অনেক উন্নত দেশেও নেই। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশে ‘এসওডি’ বা দুর্যোগ বিষয়ে স্থায়ী আদেশাবলি রয়েছে। কেন্দ্র হতে তৃণমূল পর্যন্ত ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা’ কমিটি রয়েছে। এছাড়াও ‘জাতীয় দুর্যোগ পরিকল্পনা’ আছে। এগুলি সবই বাংলাদেশের দুর্যোগ ঘনঘটাকে বিবেচনায় নিয়েই করা হয়েছে। আভিধানিক সব ডকুমেন্টে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও ভূমিকম্প প্রস্তুতি খুবই উপেক্ষিত। সাধারণ মানুষ ভূমিকম্পের প্রস্তুতিতে কী কী করতে হবে, তাও জানে না, যা তাদের বিপদের মাত্রা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে।

২০১৬ সালের ৪ জানুয়ারি ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল বাংলাদেশ। সেবার আতঙ্কেই মারা যান ৬ জন। সেক্ষেত্রে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে কী হবে, ভেবেই দেখুন! মনে আছে রানা প্লাজার কথা? উদ্ধারকাজ চালাতেই আমাদের ১৫ দিন লেগে গিয়েছিল। আমাদের দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে আরও আধুনিকায়ন করতে হবে। পাশাপাশি, স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সব সময় প্রস্তুত রাখতে হবে।

এছাড়াও, ভূমিকম্পের পর দেশের উপকূলীয় এলাকায় সুনামির আশঙ্কা থাকে। তাই পর্যাপ্ত আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ ও হাসপাতালগুলোকে আধুনিকায়ন করতে হবে। জনগণকে সচেতন করার পাশাপাশি ভূমিকম্প নিয়ন্ত্রণে সঠিক গাইডলাইন তৈরি করতে হবে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় ভূমিকম্পের ওপর প্রতিনিয়ত গবেষণা করা উচিত। গবেষণালব্ধ ফলাফল বহুলভাবে প্রচার করতে হবে। ভূমিকম্পসহনশীল ভবন তৈরি, সঠিক পরিকল্পনা করা ও তার বাস্তবায়নের দিকে নজর দিতে হবে। অন্যথায় দুর্যোগ সংঘটিত হয়ে গেলে তা থেকে বেরিয়ে আসা কঠিন হয়ে পড়বে।

লেখক : শিক্ষার্থী, গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন