সোমবার । ১লা ডিসেম্বর, ২০২৫ । ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

চরমপন্থী ও সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার এবং অস্ত্র উদ্ধারে সেনা ক্যাম্প হচ্ছে খুলনায়

নিজস্ব প্রতি‌বেদক

খুলনায় সেনা ক্যাম্প স্থাপন করা হচ্ছে। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চরমপন্থী, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ও মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যদের গ্রেপ্তারে এ ক্যাম্প স্থাপন করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারেও প্রাধান্য দেওয়া হবে। প্রশাসনের একটি দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

৫ আগস্ট পরবর্তী দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বেশ কয়েকটি জেলায় চরমপন্থীদের পুনরুত্থান হয়েছে। বেড়ে গেছে খুন-খারাবি। মাদকে পাড়া মহল্লা সয়লাব। প্রতিনিয়ত চলছে অস্ত্রের ঝনঝনানি। প্রতিদিন ঘটছে কোনো না কোনো অঘটন। সন্ধ্যা নামলেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে সাধারণ মানুষ। গেল ১৫ মাসে খুলনা জেলা ও মহানগরে কমপক্ষে ৯৪ জন খুনের খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে মাদক সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে খুন হয়েছে কমপক্ষে অর্ধশত।

খুলনার আইন-শৃখলার চরম অবনতিতে সরকার বিব্রত। সরকারের উচ্চ পর্যায়ে এ বিষয়ে বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশি তৎপরতা বৃদ্ধির পাশাপাশি খুলনায় একটি আলাদা সেনা ক্যাম্প স্থাপন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। ইতোমধ্যে ক্যাম্প স্থাপনের জন্য জায়গা নির্ধারণের কাজ করছে প্রশাসন। যাতায়াতের সুবিধার জন্য মহাসড়ক সংলগ্ন জায়গা নির্ধারণের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। রূপসা টোল প্লাজার আশপাশে এ ক্যাম্প হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। আগামী মাসের শুরু থেকে শতাধিক সদস্য নিয়ে ক্যাম্পের কার্যক্রম শুরু হতে পারে।

প্রাথমিকভাবে কিশোর গ্যাংদের চিহ্নিত করে তাদের কাছে থাকা অস্ত্র উদ্ধারে জোর দেওয়া হবে। মাদক সিন্ডিকেট গ্রেপ্তারের পাশাপাশি নিউ বিপ্লবী কমিউনিস্ট পার্টি, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এবং জনযুদ্ধের সদস্যদের গ্রেপ্তারে কাজ করবে এ সেনা সদস্যরা। যদিও এসব সংগঠনের সদস্যরা নানা নামে এবং নানা রূপে আবারও সন্ত্রাসী গ্রুপ তৈরি করে অপরাধ জগৎ নিয়ন্ত্রণ করছে। নির্বাচনের আগে আরও শতাধিক সদস্য ওই ক্যাম্পে মোতায়েন করা হতে পারে। ২০২৬ এর ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রভাবমুক্ত রাখতে এবং খুলনার বর্তমান অবস্থা পরিবর্তনে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন