মিনিস্টার রাজশাহীকে ৫ উইকেটের ব্যবধানে হারিয়েছে জেমকন খুলনা। এর ফলে বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ৬ ম্যাচ খেলে চতুর্থ জয় পেল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল। ফলে প্লে অফের পথে অনেকটাই এগিয়ে গেলো খুলনা।
অপরাজিত ৩১ রানের ইনিংস খেলে খুলনার জয়ের নায়ক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। মাঝারি লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে খুলনাকে দারুণ শুরু এনে দেন জহুরুল ইসলাম অমি এবং জাকির হাসান। এই দুজনে যোগ করেছেন ৫৬ রান।
এই প্রথম এই টুর্নামেন্টে কোনো দল পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট হারায়নি। এমন শুরুর পরও বাকি ব্যাটসম্যানরা খুলনাকে অনায়াসে জয় এনে দিতে পারেননি। জাকির ১৯ এবং জহুরুল ৪৩ রান করে ফেরার পর দ্রুতই উইকেট হারাতে থাকে খুলনা। ইমরুল কায়েস ফিরে যান ২৭ রান করে। সাকিব আল হাসানও বরাবরের মতো ব্যর্থ হয়েছে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৪ বলে ৪ রান।
শামীম হোসেনও (৭) দ্রুত ফিরলে চাপে পড়ে খুলনা। সেখান থেকে তাদের আরিফুল হককে নিয়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ।
টসে হেরে ব্যাট করতে নামা রাজশাহীকে এই ম্যাচে উড়ন্ত সূচনা এনে দিতে পারেননি আনিসুল ইসলাম ইমন। শুভাগত হোমের বলে ১ রানে ফেরেন তিনি। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার সঙ্গে এরপরের বলে ফিরলেন রনি তালুকদার। রাজশাহীর সংগ্রহ তখন ৪৭।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচে খুলনার বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন নাজমুল হোসেন। আবারও এই দলের বিপক্ষেই হাসল তার ব্যাট। মাঝের ৩ ম্যাচে ২৪, ২৫ এবং ৫ রান করে ফিরেছিলেন তিনি। এদিন ব্যাটিংয়ে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন নাজমুল।
৩৩ বলে পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। এই ম্যাচেও ফিরেছেন ৫৫ রানে মাহমুদউল্লাহর ওভারে। এর আগে অবশ্য দুইবার জীবন পেয়েছিলেন তিনি। ৬-৭ এ না নেমে শেখ মেহেদি নেমেছিলেন ৪ নম্বরে। তবে এদিন নিজের সেরাটা দিয়ে খেলতে পারেননি এই ব্যাটসম্যান। ১৫ বলে করেছেন ৯ রান।
১৪তম ওভারের চতুর্থ বলে শুভাগত হোমকে সামনে এগিয়ে ছক্কা হাঁকানোর পরের বল একই ভঙ্গিতে খেললেন ফজলে রাব্বি। আগের বল বাউন্ডারি পার করলেও এটি যায় জহুরুল ইসলামের হাতে।
শেষ ৩৭ বলে রাজশাহীর স্কোরবোর্ডে যোগ হয়েছে ৫২ রান। জাকের আলি ১৯ বলে ১৫ করলেও নুরুল হাসানের ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১ বলে ৩৭ রান। শেষ ১২ বলে ২৫ রান স্কোরবোর্ডে যোগ করে রাজশাহী পায় ১৪৫ রানের পুঁজি। ২৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন শুভাগত হোম।
খুলনা গেজেট/এএমআর