সোমবার । ১৭ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২

১০ বার ফাঁসিতে ঝোলালেও শেখ হাসিনার শাস্তি কম হবে : স্নিগ্ধ

গেজেট প্রতিবেদন

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর ভাই মীর মাহবুবুর রহমান স্নিগ্ধ বলেছেন, ১০ বার ফাঁসিতে ঝোলালেও শেখ হাসিনার শাস্তি কম হবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে রায় শুনতে ট্রাইব্যুনাল চত্বরে হাজির হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

স্নিগ্ধ বলেন, জনগণ যে রায় চব্বিশের ৫ আগস্ট দিয়েছে, আজকে আদালতের মুখ থেকেও সেই রায় ঘোষিত হবে বলে আমরা আশা করছি। শেখ হাসিনা যে অত্যাচার করেছে, তার জন্য তাকে দশবার মৃত্যুদণ্ড দিলেও কম হবে। শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ শাস্তির রায় আজই ঘোষণা হোক। শুধু রায় প্রকাশ নয়, যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশে এনে দেশের মাটিতে রায় কার্যকর করা হোক-সেটি আমাদের সবার আশা ও প্রত্যাশা।

রায় শুনতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল চত্বরে আরও হাজির হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি সাদিক কায়েম, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহতরা।

মামলার অন্যতম আসামি ও রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। বাকি দুই আসামি-সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পলাতক।

বিচারপতি গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করবেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।

মোট পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। পাঁচ অভিযোগ হলো—উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান, প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ, রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা, রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় আন্দোলনরত ছয়জনকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পুড়িয়ে হত্যা করা।

রায় ঘোষণা কার্যক্রম সরাসরি সম্প্রচার করবে বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ও ট্রাইব্যুনালের নিজস্ব ফেসবুক পেইজ। এ ছাড়া রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন পয়েন্টে বড় পর্দা বসিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। ফলে ঢাকাবাসী সহজেই এ বিচারকাজ দেখতে পারবে।

এদিকে, এ রায়কে কেন্দ্র করে ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বাড়ানো হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। পুলিশ-র‌্যাব, এপিবিএন-বিজিবির পাশাপাশি নিয়োজিত রয়েছে সেনাবাহিনী। তৎপর গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরাও।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন