৫ দফা দাবিতে খুলনা মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিকেলে দৌলতপুর নতুন রাস্তা মোড়ে অনুষ্ঠিত এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জামায়াতে খুলনা মহানগরী আমীর অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান।
সমাবেশে তিনি বলেন, সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত জুলাই বিপ্লবের মাধ্যমে তৈরি জুলাই সনদ কোনো কাগুজে সনদ নয়; এটি আগামীর বাংলাদেশের রূপরেখা। নভেম্বরের মধ্যেই গণভোট আয়োজন, পিআর পদ্ধতি চালু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন এবং আওয়ামী লীগ সরকারের জুলুম-নির্যাতনের বিচারসহ ৫ দফা দাবি জনগণের প্রাণের দাবিতে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “একটি দল জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঠেকিয়ে দিয়ে বাংলাদেশে আবার ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চাচ্ছে। রক্ত দিয়ে যে ফ্যাসিবাদ বিদায় করেছি, প্রয়োজনে আবার রক্তের সাগর প্রবাহিত হবে—তবু বাংলার মাটিতে ফ্যাসিবাদ ফিরতে দেওয়া হবে না।”
সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারী সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাকে তামাশায় পরিণত করেছিল। তাদের গুম-খুন, গণহত্যা ও লুটপাটের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে। জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার দাবিও তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, একটি বিশেষ দল সন্ত্রাস-চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এখন যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় যাওয়া চেষ্টা করছে এবং অন্তবর্তী সরকারের সিদ্ধান্তসমূহ সেই দলের ইচ্ছানির্ভর হয়ে পড়েছে।
সমাবেশ পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও মহানগরী সেক্রেটারি এডভোকেট শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন হেলাল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন— অধ্যাপক নজিবুর রহমান, এডভোকেট মুহাম্মদ শাহ আলম, প্রিন্সিপাল শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল ইসলাম ফারাজী, গাউসুল আযম হাদী, খান গোলাম রসুল, ছাত্রশিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসেন মিলন, সেক্রেটারি রাকিব হাসান, মীম মিরাজ হোসাইন, মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক, মুকাররম বিল্লাহ আনসারী, ইঞ্জিনিয়ার মোল্লা আলমগীর, অধ্যাপক ইকবাল হোসেন, মাওলানা শাহারুল ইসলাম, মাওলানা শেখ মো. অলিউল্লাহ, এস এম হাফিজুর রহমান, জি এম শহীদুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল মামুন, মাওলানা মুশাররফ আনসারী, মাওলানা নিয়াজ আনসারী, মো. মোজাফ্ফর হোসেন, মাওলানা আব্দুল গফুর প্রমুখ।
পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল যশোর–খুলনা মহাসড়ক হয়ে দৌলতপুর মোড়ে এসে শেষ হয়।
খুলনা গেজেট/এএজে
