শনিবার । ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২
ভারত-বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ

খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক নির্মাণে দ্রুত ও নিরাপদ যাত্রার হাতছানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

অবশেষে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে কংক্রিটের রাস্তা তৈরিতে সম্মত সড়ক অধিদপ্তর। প্রস্তাবিত ১শ’ কোটি টাকার মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৭৫ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। টেকসই এ পদ্ধতির রাস্তা নির্মাণে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নসহ এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও দ্রুত এবং নিরাপদ সড়ক যোগাযোগের সম্ভাবনা দেখা দেবে।

নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার, জোবা মাটি, পানির স্তর রাস্তার সমান ও মাত্রাতিরিক্ত ওভারলোডিং যান চলাচল করায় খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়ক চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ৩৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এ মহাসড়কের কমপক্ষে ১৭ কিলোমিটার রাস্তা সম্পূর্ণ নষ্ট। গেল অর্থ বছরে বিকল্প হিসেবে ২৩৫০ মিটার রাস্তা নির্মাণে ২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়। ওই বরাদ্দের কাজ চলমান। গেল বর্ষায় নষ্ট মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটে নাকাল ছিল এ অঞ্চলের মানুষ। দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক অগ্রগতি চরম সংকটে পড়ায় এবং তীব্র প্রতিবাদের মুখে ৩৩ কিলোমিটারের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ৮ কিলোমিটার চিহ্নিত করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ।

কংক্রিটের রাস্তা নির্মাণের জন্য ওই ৮ কিলোমিটারের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় ঢাকাস্থ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরে। গেল ১৩ অক্টোবর সভায় প্রধান প্রকৌশলী সরেজমিন সার্ভে করে প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ দেন। ১৮ অক্টোবর সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রোড ডিজাইন এবং সেফটি সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ তানভীর সিদ্দিক খুলনা-সাতক্ষীরা সড়কের বর্তমান অবস্থা পর্যবেক্ষণ করেন। পরবর্তীতে তার দেওয়া সার্ভে রিপোর্টের আলোকে ৬ কিলোমিটার রাস্তায় আরসিসি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। বাংলাদেশ ও ভারতের সংযোগ সড়ক হিসেবে এ মহাসড়কটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ, খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তানিমুল হক বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে আরসিসি হলে অনেক টেকসই হবে এমন বিষয়টি মাথায় নিয়েই প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছিল। অধিদপ্তর গুটুদিয়া অংশের ২ কিলোমিটার বাদ দিয়ে ৬ কিলোমিটার রাস্তা প্রাথমিকভাবে অনুমোদন করেছে।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে বৃহৎ এলাকার জনদুর্ভোগ ও অর্থনৈতিক ক্ষতির চিত্র বস্তুনিষ্ঠভাবে তুলে ধরায় বরাদ্দ পেতে সহজ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এভাবে রাস্তা নির্মাণ হলে কমপক্ষে ২০ বছর টেকসই হবে। ফলে এ এলাকার অর্থনৈতিক অগ্রগতি সাধিত হবে। জীবনযাত্রার মানের হবে আমুল পরিবর্তন।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন