পাকিস্তানের তেহরিক-ই-তালেবান (টিটিপি) সংগঠনের হয়ে যুদ্ধ করতে গিয়ে নিহত হয়েছেন গোপালগঞ্জের তরুণ রতন ঢালী (২৯)। দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ থাকার পর সম্প্রতি তার মৃত্যুর খবর পায় পরিবারটি।
নিহত রতন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার হরিশ্চর গ্রামের আনোয়ার ঢালীর ছেলে। তিনি ঢাকার খিলগাঁওয়ের একটি মেডিকেল সেন্টারে কাজ করতেন।
২০২৪ সালের ২৭ মার্চ সহকর্মী ফয়সাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। পরে অবৈধভাবে আফগানিস্তান হয়ে পাকিস্তানে গিয়ে টিটিপিতে যোগ দেন বলে জানা গেছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে রতন ও ফয়সাল নিহত হন। রতন শেষবার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন ২০২৪ সালের ১০ এপ্রিল। সে সময় তিনি জানান, দিল্লিতে আছেন এবং শিগগিরই দুবাই যাবেন।
রতনের বাবা আনোয়ার ঢালী বলেন, ছেলেকে আমরা ভেবেছিলাম বিদেশে আছে। কয়েকদিন আগে পুলিশ এসে জানায়, সে পাকিস্তানে নিহত হয়েছে। কিভাবে সেখানে গেল বা কিভাবে জড়িত হলো, কিছুই জানি না। যারা তাকে প্রলুব্ধ করেছে, তাদের বিচার চাই।
রতনের মা সেলিনা বেগম বলেন, শেষবার রতন বলেছিল, দুবাই যাচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম টাকা কোথায় পেলি, সে বলেছিল, যেখানে কাজ করছি তারাই টাকার ব্যবস্থা করেছে। এরপর আর যোগাযোগ হয়নি।
পরিবার জানায়, রতনের মৃত্যুতে তারা গভীর শোকে আছেন, তবে সন্তানের ভুল পথে যাওয়া নিয়ে সমাজের ভয়ে তা প্রকাশ করতে চান না।
বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স (সিটিটিআই) ইউনিট রতন ঢালী ও ফয়সাল হোসেনের টিটিপির হয়ে যুদ্ধে নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
খুলনা গেজেট/এএজে

