বুধবার । ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২০শে কার্তিক, ১৪৩২

১৫ বছর পর পাকা হচ্ছে বটিয়াঘাটার এক কিলোমিটার সড়ক, জনমনে স্বস্তি

নিজস্ব প্রতিবেদক

দীর্ঘ ১৫ বছর পর অবশেষে বটিয়াঘাটা উপজেলার বারোআড়িয়া বাজার থেকে গোজা শীলের বাড়ি পর্যন্ত কাদাযুক্ত এক কিলোমিটার রাস্তায় শুরু হয়েছে ইটের সলিংয়ের কাজ। উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি ছিল এই কাদাযুক্ত রাস্তা পাকা করণের। সেই দাবি পূরণ হতে যাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছে এলাকাবাসী। দীর্ঘ ১৫ বছরের উন্নয়ন বঞ্চিত এ রাস্তায় বর্ষা মৌসুমে হাঁটু পানি জমতো। কাদা ও জলাবদ্ধতার কারণে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হতো হাজারো পথচারী। বহুদিনের ভোগান্তির অবসান ঘটায় তাদের মুখে ফুটেছে স্বস্তির হাসি।

স্থানীয়রা বলছেন, “এই উদ্যোগে তারা বহু প্রতীক্ষার পর স্বস্তির নিশ্বাস ফেলতে পারছেন। উন্নয়ন কাজ শেষ হলে এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন ঘটবে। বৃদ্ধি পাবে ব্যাবসা-বাণিজ্য।”

এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী একাধিক ভ্যান চালক, ইজিবাইক চালক, করিমন চালক, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চালকরা বলেন, “রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে, এখান থেকে গাড়ি চলাচল করা ছিলো খুবই কষ্টসাধ্য। প্রতিনিয়ত ঘটতো দুর্ঘটনা।”

ভ্যানচালক অতল মিস্ত্রি বলেন, “রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ ছিল যে, যাত্রী গাড়িতে উঠতে চাইতো না।”

এছাড়া বিবেক, মোস্তফা, কালাম, কৃষ্ণপদ তরফদার, মধু পরিমল সহ শতাধিক ভ্যানচালক বলেন, “রাস্তায় ইটের সলিং হওয়ায় আমাদের অনেক উপকার হবে।”

নছিমন চালক আব্দুর রহমান বলেন, “রাস্তা ভালো হলে যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে। রোজগারও আগের চেয়ে ভালো হবে।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী বিন্দু শীল বলেন, “কখনো কল্পনাও করতে পারেনি এই রাস্তা পাকা হবে।”

বিন্দু শীলের মত ব্রজেন প্রণব মন্ডল, ব্রজেন শীল, গোবিন্দ সাহাসহ ভুক্তভোগীরা ও একাধিক গাড়ি চালকরা বলেন, “রাস্তার কাজ সম্পন্ন হলে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করা হবে।”

বারোআড়িয়া শহীদ স্মরণীয় মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ শেখ মোঃ তোরাব আহমেদ ফিরোজ বলেন, “এক কিলোমিটার কাদাযুক্ত রাস্তা পায়ে হেঁটে স্কুল ও কলেজে আসতে হতো শিক্ষার্থীদের।”

কলেজের ল্যাব সহকারী রাজীব মন্ডল বলেন, “এই রাস্তা দিয়ে চলাচলে এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা চরম দুর্ভোগের সম্মুখীন হতো।”

সুরখালি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ জাকির হোসেন লিটু বলেন, “রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে দীর্ঘদিন এই রাস্তার উন্নয়ন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। একসময় পথচারী তো দূরের কথা, কোনো যানবাহন ও এ পথে চলাচল করতে পারত না। জনগণের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করেই উন্নয়ন তহবিল থেকে রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন