আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা ঘোষণা করছে বিএনপি। সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক শেষে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেন। সারাদেশে ৩০০ আসনের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ২৩৭ আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, দিনাজপুর-৩ থেকে আগামী নির্বাচনে অংশ নেবেন দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। একই সঙ্গে বগুড়া-৭ ও ফেনী–১, আসন থেকেও লড়বেন তিনি।
দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান লড়বেন বগুড়া-৬ আসন থেকে।
অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন কুমিল্লা-১; মির্জা আব্বাস ঢাকা-৮; গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ঢাকা-৩; ড. আব্দুল মঈন খান নরসিংদী-২; মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁও-১; আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-১০; সালাহউদ্দিন আহমদ কক্সবাজার-১; ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জ-২ এবং মেজর (অবঃ) হাফিজ উদ্দিন আহমদে বীর বিক্রম ভোলা-৩; ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসাইন দিনাজপুর-৬ আসন থেকে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন।
ঢাকা-১৪ থেকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেয়েছেন মায়ের ডাকের সানজিদা তুলি।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিনের ছেলে ব্যরিস্টার মোহাম্মদ নওশাদ জহির পঞ্চগড়-১ আসন থেকে মনোনীত করা হয়েছেন।
স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া অসুস্থ থাকার কারণে কোনো আসনে মনোনীত হননি বলে জানা গেছে।
এছাড়া, স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, এখনও পর্যন্ত কোনো আসনে মনোনীত হননি।
যে ৬৩ আসন খালি রেখে প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি
এদিন যেসব আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা স্থগিত রেখেছে সেগুলো হলো- ঠাকুরগাঁও-২, দিনাজপুর-৫, নীলফামারী-১, নীলফামারী-৩, লালমনিরহাট-২, বগুড়া-২, নওগাঁ-৫, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-১, ঝিনাইদহ-১, ঝিনাইদহ-২, ঝিনাইদহ-৪, যশোর-৫, নড়াইল-২, বাগেরহাট-১, বাগেরহাট-২, বাগেরহাট-৩, খুলনা-১, পটুয়াখালী-২, পটুয়াখালী-৩, বরিশাল-৩, ঝালকাঠি-১, পিরোজপুর-১, টাঙ্গাইল-৫, ময়মনসিংহ-৪, ময়মনসিংহ-১০, কিশোরগঞ্জ-১, কিশোরগঞ্জ-৫, মানিকগঞ্জ-১, মুন্সীগঞ্জ-৩, ঢাকা-৭, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮, ঢাকা-২০, গাজীপুর-১, গাজীপুর-৬, নরসিংদী-৩, নারায়ণগঞ্জ-৪, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-১, মাদারীপুর-২, সুনামগঞ্জ-২, সুনামগঞ্জ-৪, সিলেট-৪, সিলেট-৫, হবিগঞ্জ-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, কুমিল্লা-২, কুমিল্লা-৭, লক্ষীপুর-১, লক্ষীপুর-৪, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৬, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১৪, চট্টগ্রাম-১৫, ও কক্সবাজার-২।
এর আগে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্ব দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হয়। সেখানে দলীয় প্রার্থীদের প্রাথমিক নামের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর পর আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা গণতান্ত্রিক নির্বাচন পেতে যাচ্ছি। সেই নির্বাচনে প্রায় ২৩৭ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী তালিকা দেওয়া হচ্ছে। আর যেসব আসনে যুগপৎ আন্দোলন সঙ্গীদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হবে, সেটি বিএনপি সমন্বয় করে নেবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি আছেন- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুল মঈন খান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
								
    
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
