খুলনায় বিএনপি নেতার অফিসে সন্ত্রাসীদের গুলি ও বোমা হামলার ঘটনায় ইমদাদুল হক নামে মাদ্রাসার এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৩ জন আহত হয়েছে।
রোববার (২ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে কুয়েট রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইমদাদুল বছিতলা নুরানি হাফিজিয়া মাদ্রাসার মাদ্রাসা শিক্ষক। এর আগে তিনি ইউসুফ স্কুলে শিক্ষকতা করতেন।
আহতরা হলেন, যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইউপি সদস্য মামুন শেখ (৪৫), বেল্লাল খান (৫৫) ও মিজানুর রহমান (৫৮)। এর মধ্যে মামুন ও বেল্লাল খানকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য মামুন স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে তার অফিসে বসে ছিলেন। এসময় সাবেক শিক্ষক ইমদাদুল হকসহ কয়েকজন মাহফিলের সহযোগিতার জন্য ওই অফিসে ইউপি সদস্য মামুন শেখের কাছে যায়। রাত ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে সন্ত্রাসীরা এসে অফিস লক্ষ্য করে বোমা এবং গুলি ছোড়ে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্য মামুন শেখ, কাঠ মিস্ত্রি বেল্লাল খান ও মিজানুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ইমদাদুল হককে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
নিহতের ছেলে মেডিকেল শিক্ষার্থী অনিক বলেন, “মাহফিলের টাকা সংগ্রহে গিয়ে আমার বাবা মারা গেছেন। আমি মেডিকেলে পরীক্ষা দিব। তিনি এলাকার মধ্যে সবচেয়ে ভালো মানুষ ছিলেন। আব্বুর স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হব। এখন কিভাবে লেখাপড়া করব।”
খানজাহান আলী থানা বিএনপি’র সভাপতি কাজী মিজানুর রহমান বলেন, “যোগীপোল ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনকে সন্ত্রাসীরা গুলি করেছে। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।”
খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তুহিনুজ্জামান বলেন, “রাতে হামলার ঘটনায় এক শিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামুন ও মিজান নামে ৩ জন আহত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত চলছে।”
আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ খায়রুল বাসার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “মামুন প্রায় এখানে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে আড্ডা দেয়। আজও সে আড্ডা দিচ্ছিল। রাত ৯ টার দিকে সন্ত্রাসীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। তার অবস্থা খুবই নাজুক। এ ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।”
খুলনা গেজেট/এএজে/এমএম

