খুলনা জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। সমিতির সদস্য সচিব শেখ নুরুল হাসান রুবা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এদিকে নির্বাচন স্থগিতের সংবাদে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে সাধারণ আইনজীবীরা। রবিবার বিকালে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদ জানান জামায়াত সমর্থিত বাংলাদেশ ল’ইয়ার্স কাউন্সিল ও এসসিপি সমর্থিত স্বতন্ত্র আইনজীবী পরিষদের প্রার্থীরা।
ল’ইয়াস কাউন্সিলের সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সেক্রেটারি মনিরুল ইসলাম পান্না বলেন, গত ২০২৫ সালে মনোনয়ন বিক্রির শেষ দিনে কথিত সাধারণ সভার নামে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছিল। আজ একই কায়দায় আবারও এডহক কমিটি নির্বাচন স্থগিত করলো। এটা অগণতান্ত্রিক, নব্য ফ্যাসিস্টের বহিঃপ্রকাশ। তিনি বলেন, দেশে অনেক আইনজীবী সমিতিতে নির্বাচন হয়েছে এবং হচ্ছে। আইনজীবী সমিতির বর্তমান এডহক কমিটি পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে। যা নতুন বিপ্লবের সঙ্গে সরাসরি বিশ্বাস ঘাতকতার শামিল।
তিনি বলেন, অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় ৩০ অক্টোবর আইনজীবীরা মনোনয়নপত্র ক্রয় করতে গেলে বিতরণ করা হয়নি। নির্বাচন কমিশনের প্রধান শেখ আব্দুল আজিজ ২ নভেম্বর রবিবার মনোনয়নপত্র বিতরণ করবেন বলে জানান। রবিবার বেলা একটায় মনোনয়নপত্র কিনতে গেলে আবারও জানানো হয়, মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে না। দুপুর ২ টায় কমিটি সাধারণ সভার ডেকে সাধারণ আইনজীবীদের কোন বক্তব্য না শুনে নির্বাচন স্থগিত এবং এডহক কমিটির মেয়াদ বৃদ্ধির ঘোষণা দেয়। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এবং অবিলম্বে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী পরিষদের নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।

অপর দিকে একই দাবিতে বিকেল ৫ টায় স্বতন্ত্র আইনজীবী পরিষদ খুলনা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এড. বেগম আক্তার জাহান রুকু। উপস্থিত ছিলেন নিশিত কান্তি ঘোষ, এ এম মমিনুজ্জামান টুলু, এড. হাফিজুর রহমান শান্ত প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলন সোমবার বিকেল ৩ টার মধ্যে নির্বাচন পূর্বের তারিখে ঘোষণার দাবি জানানো হয়।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শেখ নূরুল হাসান রুবা বলেন, ৯৪ জন আইনজীবী নির্ববাচন ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্থগিতের আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে বেলা ২টায় বিশেষ সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। সভায় নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

