যুদ্ধবিরতির চুক্তির অংশ হিসেবে আরও ৩০ ফিলিস্তিনির মরদেহ ফেরত দিয়েছে দখলদার ইসরায়েল। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) মরদেহগুলো গাজার খান ইউনিসের আল নাসের মেডিকেল কমপ্লেক্সে পৌঁছে দেয় রেডক্রস।
এরআগে বৃহস্পতিবার রাতে দুই ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরত পাঠায় হামাস। গত ১৩ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের সঙ্গে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হয়। এতে বলা হয়েছিল, একজন জিম্মির মরদেহ দিলে ইসরায়েল ১৫টি মরদেহ ফেরত দেবে। গতকাল হামাস ২ জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়ায় ইসরায়েল ফেরত দিয়েছে ৩০ ফিলিস্তিনির নিথর দেহ।
মরদেহগুলো পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে আল নাসের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বার্তাসংস্থা এএফপিকে বলেছে, “বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দির মরদেহ ইসরায়েল থেকে গ্রহণ করা হয়েছে।”
যুদ্ধবিরতি শুরুর পর দখলদাররা এখন পর্যন্ত ২২৫ জনের মরদেহ ফেরত দিয়েছে। ইসরায়েলের কাছে এখনো অনেক ফিলিস্তিনির মরদেহ আছে। যেগুলো দীর্ঘদিন ধরে সেখানে আছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দিনই ২০ জীবিত জিম্মিকে ফেরত দেয় হামাস ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী। এরপর ধীরে ধীরে মৃত জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দেওয়া শুরু করে তারা। হামাস মৃত জিম্মিদের মরদেহ যেসব জায়গায় লুকিয়ে রেখেছিল সেগুলো কয়েকটি ধ্বংসস্তূপের নিচের চাপা পড়েছে। এগুলো উদ্ধার করতে বেশ কিছুদিন সময় লাগতে পারে।
এদিকে যুদ্ধবিরতির মধ্যেই দুইবার এটি লঙ্ঘন করেছে দখলদার ইসরায়েল। চুক্তি ভেঙ্গে গাজায় ব্যাপক হামলা চালিয়ে দখলদাররা নতুন করে প্রায় ১৬০ জনকে হত্যা করেছে। এরমধ্যে শুধুমাত্র একরাতে ১০৪ জনকে হত্যা করেছে তারা।
সূত্র: এএফপি, টাইমস অব ইসরায়েল
খুলনা গেজেট/এএজে
								
    
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
                                        
