বুধবার । ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২০শে কার্তিক, ১৪৩২

‘পরিকল্পিতভাবে রানা ও একরামকে পাইকগাছায় নিয়ে হত্যা করা হয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক

পাইকগাছায় নদী থেকে নগরীর সোনাডাঙ্গা আবাসিক এলাকার রানা খলিফার লাশ উদ্ধারের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকান্ড হলেও থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর সোয়া ১২টায় খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবা সম্মেলনে রানা খলিফার ভাই আসাদুজ্জামান আকাশ এ অভিযোগ করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৬ অক্টোবর পাইকগাছা দেলুটিয়ায় নদী থেকে রানা খলিফার লাশ উদ্ধার করা হয়। এর পরদিন তার বন্ধু ইকরামের লাশ উদ্ধার করা হয়।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, রানা বাবার সাথে গ্রিলের ব্যবসা করত। ১৪ অক্টোবর বাড়ি থেকে যাওয়ার সময় সে জানিয়ে যায় বন্ধু শাহিনের সাথে যাবে। বিকেল ৪ টার দিকে ফোন করা হলে রানা জানায় সে পাইকগাছায় রয়েছে। পরবর্তীতে সন্ধ্যার পর থেকে তার সাথে আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। শাহিনের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে সে জানায় রানা একরামের সাথে রয়েছে।

১৫ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে রানার ভাই আকাশের শালা রাজু তার বাড়িতে আসে। তখন তিনি রাজুকে জানান এখনও পর্যন্ত রানা বাড়িতে ফিরে আসেনি। জবাবে রাজু বলে রানা একরাম হত্যার সাথে আছে। বিষয়টি জানতে চাইলে জানানো হয় সেও ওখানে ছিল। পরবর্তীতে ১৬ অক্টেবর পাইকগাছা থানা থেকে আমাদের জানানো হয় রানার লাশ পাওয়া গেছে।

একটি সূত্র জানায়, ১৪ অক্টোবর ঘের খলের উদ্দেশ্যে খুলনার এক সময়কার ত্রাস একরামসহ ১২ জন সস্য পাইকগাছার উদ্দেশ্যে যায়। ঘেরটি খুলনার সাতরাস্তা মোড়ের এক ব্যবসায়ির। বিগত সরকারের আমলে ওই ঘের থেকে সাতরাস্তা মোড়ের ওই ব্যবসায়িকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। সরকার পরিবর্তনের পর ওই ব্যবসায়ি ঘেরটি ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য সন্ত্রাসী একরামের সাথে যোগাযোগ করেন তিনি। ঘেরটি খল করতে যাওয়া ছিল তারে জীবনের বড় কাল। ১৬ অক্টোবর রানার লাশ এবং পর দিন একরামের লাশ উদ্ধার করা হয়। বাকী ১০ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন