বুধবার । ৫ই নভেম্বর, ২০২৫ । ২০শে কার্তিক, ১৪৩২
খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

শাস্তি প্রত্যাহার না হলে আমরণ অনশনের হুমকি বহিষ্কৃত খুবি শিক্ষার্থীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

শিক্ষককে মারপিটের ঘটনায় বহিষ্কৃত খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন। শনিবার (১৮ অক্টোবর) খুলনা প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি বলেন, ‘দাবি মানা না হলে আমি ক্যাম্পাসের প্রধান গেট শহীদ মীর মুগ্ধ তোরণের সামনে আমরণ অনশন করবো। অনশনের কারণে আমার মৃত্যু হলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্টার ও ছাত্র বিষয়ক পরিচালককে নিতে হবে।’

চলতি বছর ২ মে রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের গাছ থেকে আম পাড়ায় বাঁধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকির সঙ্গে তর্কে জড়ান মোবারক হোসেন নোমান। এক পর্যায়ে শিক্ষককে শারীরিকভাবে আঘাত করেন তিনি। এ ঘটনায় নোমানের শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তারা নোমানকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। বিশ্ববিদ্যালয়ও তদন্ত কমিটি গঠন করে।

পরে শিক্ষকের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ওই মামলায় নোমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ৯ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃংখলা বোর্ডের ২৭তম সভায় নোমানকে স্থায়ী বহিষ্কার, সনদ বাতিল ও ক্যাম্পাসে আজীবন প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। তবে ক্ষমা চাওয়ায় মানবিক বিবেচনায় তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্তটি শর্তসাপেক্ষে স্থগিত করা হয়।

শনিবার সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নোমান বলেন, ‘গত ২ মে প্রশাসনিক ভবনের পাশে প্রতীকীভাবে আম পাড়তে গেলে কিছু শিক্ষক আমাদের গালিগালাজ ও হুমকি দেন। এক পর্যায়ে আমাকে ধাক্কা মারতে মারতে একজন শিক্ষক পড়ে যান। এই ক্ষুদ্র ঘটনাকে বিকৃতভাবে প্রচার করে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার তদন্তে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ না পেয়ে পুলিশ ফাইনাল রিপোর্ট দিয়েছে। পুলিশের রিপোর্টই বলে দিচ্ছে যে আমি নির্দোষ।’

তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে গুরুতর কোন অভিযোগ পাওয়া না গেলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পরিকল্পিতভাবে আমার স্নাতক সনদ বাতিল, বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিষিদ্ধ এবং মাস্টার্সের শেষ টার্মে অংশগ্রহণে বাতিল করে দিয়েছে। মাস্টার্স শেষ করতে না পারায় আমার শিক্ষাজীবন ভবিষ্যত অন্ধকারের দিকে ধাবিত হচ্ছে।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন