নগরীর বাজারে গত মাসের তুলনায় এ মাসে ভোজ্যতেলের মূল্য গড়ে লিটার প্রতি ২৬ টাকা করে বেড়েছে। সয়াবিন তেলের মূল্য বোতলজাত ১৮৬-১৯০ টাকা, পাম অয়েল ১৭০-১৭৫ টাকা। গত মাসে খুলনা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এর সূত্রানুযায়ী খোলা সয়াবিনের মূল্য ১৬৮-১৭০ টাকা, পাম অয়েল ১৫০-১৫৪ টাকা। সরকারি ঘোষণার আগেই অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ বুঝে দাম বেড়েছে। ভোজ্য তেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে মূল্য বাড়ানোর দাবি করে। মন্ত্রণালয়ও দাবি মেনে নেয়।
বড় বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিনের মূল্য ১৮৬ টাকা, খোলা সয়াবিন ১৮৭ টাকা, পাম অয়েল ১৭০-১৭৫ টাকা। বড় বাজারে উল্লিখিত দামে বিক্রি হলেও সন্ধ্যা বাজারে তারতম্য ঘটেছে। এবাজারে বোতলজাত সয়াবিনের দাম চার টাকা বেড়েছে, খোলা সয়াবিন তেলে সেটা বেড়েছে ১৩ টাকা। তবে মিল রয়েছে পাম অয়েল তেলের।
দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে কোনো কোন বিক্রেতারা বলেন, পাইকারিতে বাড়ার কারণে খুচরা বাজারেও খোলা তেলের দাম বেড়েছে। বাইরের দেশ থেকে আমাদের দেশে ভোজ্য তেল আসে, সেসব দেশের সাথে তালমিলিয়ে আমাদের চলতে হয়।
সন্ধ্যা বাজারের ক্রেতা খলিল উদ্দিন বলেন, দাম বাড়ার কারণে এক লিটার তেল কিনেছি। কম থাকলে হয়তো দেড় থেকে দুই লিটার ক্রয় করার ইচ্ছে ছিল। আমরা সরকারের নিকট সয়াবিন তেল সহ বাজার দর নিয়ন্ত্রণে রাখার দাবি জানাই।
সম্প্রতি লিটারে ১০ টাকা দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয় ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারীদের সংগঠনটি। কারণ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন সয়াবিন তেলের দাম ১ হাজার ২০০ ডলার পর্যন্ত হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে দাম বাড়ানোর বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো ঘোষণা দেয়নি ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বিপণনকারী কোম্পানিগুলো।
খুলনা গেজেট/এনএম

