টাইফয়েড টিকা ক্যাম্পেইন পালন উপলক্ষে খুলনা বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে গণমাধ্যমকর্মীদের নিয়ে ‘টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক কনসালটেশন ওয়ার্কশপ’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার খুলনা প্রেসক্লাবের শহীদ হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে এই ওয়ার্কশপটি অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়ার্কশপে জানানো হয়, ক্যাম্পেইনের আওতায় খুলনা সিটি করপোরেশনসহ (কেসিসি) খুলনা বিভাগের ১০টি জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৪২ লাখ ৮৪ হাজার ৫৭৭ জন শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। খুলনা বিভাগে গতকাল শুক্রবার সকাল পর্যন্ত অনলাইনে ১৩ লাখ ১০ হাজার ৬৯ জনের নিবন্ধন করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার ৩১ শতাংশ।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫২ শতাংশ টিকার জন্য রেজিস্ট্রেশন হয়েছে মাগুরা জেলায়। আর নি¤œমুখী খুলনা সিটি কর্পোরেশন, খুলনা ও বাগেরহাট জেলা। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটি পর্যায়ে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৭০ শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করেছে ৩৩ হাজার ৭৬২ জন শিশু, যা লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ। খুলনা জেলার ৯টি উপজেলার ৪ লাখ ৩১ হাজার ২৫ শিশুকে টাইফয়েড টিকা প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রেজিস্ট্রেশন করেছে ৯০ হাজার ১৮১ জন শিশু, যা লক্ষ্যমাত্রার ২১ শতাংশ। এছাড়া বাগেরহাটে লক্ষ্যমাত্রার ২০ শতাংশ, চুয়াডাঙ্গায় ৩৭ শতাংশ, যশোরে ৩৮ শতাংশ, ঝিনাইদহে ২৮ শতাংশ, কুষ্টিয়ায় ২১ শতাংশ, মেহেরপুরে ৩৪ শতাংশ, নড়াইলে ২৮ শতাংশ, সাতক্ষীরায় ৩৮ শতাংশ শিশুর জন্য টিকার রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফায়জুল হক বলেন, টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন সফল করতে গণমাধ্যমকর্মীদের বড় ভূমিকা রয়েছে। এ বিষয়ে গুজব প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধি করতে হবে।

খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছের সভাপতিত্বে ওয়ার্কশপে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক, ইউএনবির প্রতিনিধি শেখ দিদারুল আলম, খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীর, জেলা শিক্ষা অফিসার এস এম ছায়েদুর রহমান ও সিভিল সার্জন দপ্তরের সিনিয়র স্বাস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ। স্বাগত বক্তৃতা করেন বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক গাজী জাকির হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিভাগীয় জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক মো. ইব্রাহিম-আল-মামুন। পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে টিকাদান সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. মো. আরিফুল ইসলাম। ওয়ার্কশপে খুলনার স্থানীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা অংশ নেন।

খুলনা গেজেট/এনএম