আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) নির্দেশনা বারবার অমান্য করায় শাস্তি হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের সদস্যপদ স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল (মঙ্গলবার) এক ভার্চুয়াল সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তা দেশটিকে জানানো হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ড (ইউএসএসি) এই স্থগিতাদেশ পেলেও, আইসিসি ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে তাদের কোনো বাধা থাকবে না।
গত এক বছর ধরে আইসিসি যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেট বোর্ডের প্রশাসনিক কাঠামো গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছিল। আইসিসি জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ইউএসএসি সঠিক প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। গত জুলাইয়ে আইসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় তাদের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের জন্য তিন মাস সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা আইসিসির সেই আদেশ মানেনি, যার ফলস্বরূপ এই স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে।
আইসিসি তাদের বিবৃতিতে জানিয়েছে,এই সিদ্ধান্ত দুঃখজনক হলেও ক্রিকেটের দীর্ঘমেয়াদি স্বার্থ রক্ষার জন্য এটি একটি প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ। আইসিসির প্রধান লক্ষ্য হলো, এই সিদ্ধান্তের কারণে যেন খেলোয়াড় ও খেলার ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব না পড়ে। তবে ক্রিকেট বোর্ডের ওপর স্থগিতাদেশ দেয়ায় তাদের প্রশাসনিক বিষয় কে দেখভাল করবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আইসিসি ম্যানেজমেন্টের সহায়তায় একটি নরমালাইজেশন কমিটি গঠন করা হয়েছে, যারা যুক্তরাষ্ট্র ক্রিকেটের ওপর থেকে স্থগিতাদেশ তুলে নিতে কী কী পদক্ষেপ নেয়া দরকার, তা নির্ধারণ করবে। এই কমিটি ইউএসএসি-র অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করবে এবং প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সহায়তা দেবে।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে ভারত ও শ্রীলঙ্কায় যৌথভাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে। এই টুর্নামেন্টে খেলতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বাধা নেই। এ ছাড়া ২০২৮ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকে স্বাগতিক হিসেবে অংশ নিতেও তাদের কোনো অসুবিধা হবে না।
খুলনা গেজেট/এনএম