খুলনা, বাংলাদেশ | ২২ আশ্বিন, ১৪৩১ | ৭ অক্টোবর, ২০২৪

Breaking News

  সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার

সাতক্ষীরায় বয়স জালিয়াতি করে চাকুরী নেয়ার অভিযোগ, প্রতিবাদে মানববন্ধন

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

সাতক্ষীরায় জালিয়াতির মাধ্যমে বয়স কমিয়ে কুন্দুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে চাকুরি পাওয়া শীব প্রসাদেকে রক্ষা করতে আশাশুনি উপজেলা শিক্ষা অফিস ও জেলা শিক্ষা অফিসারের ভূমিকার প্রতিবাদ মানববন্ধন করেছে গ্রামবাসী। মানববন্ধন শেষে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন গ্রামবাসী।

কুন্দুড়িয়া গ্রামবাসীর আয়োজনে বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় সাতক্ষীরা শহরের পাকাপুলের উপর অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, বুধহাটা ইউপি’র সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোছাঃ মমতাজ বেগম, গ্রামবাসীর পক্ষে মোঃ ময়নুদ্দিন, মোঃ মিজান, প্রান্ত প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত ২০১৩ সালের ২৮ মার্চ আশাশুনি উপজেলার কুন্দুড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরি পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন শিবপ্রসাদ। তিনি বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে কৌশলে ভূয়া জন্ম নিবন্ধন নিয়ে নিজের বয়স কমিয়ে দপ্তরি পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেন। শিব প্রসাদ সরকার ৩ ভাই বোনের মধ্যে সে মেঝ। বর্তমান জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তার জন্ম সাল ১৯৮৩। অথচ তার পিতা মারা যান ১৯৭১ সালে। যার স্বাক্ষী এলাকার বয়োবৃদ্ধরা। পিতার মৃত্যুর ১২ বছর পর কিভাবে তার জন্ম হলো তা নিয়ে প্রশ্ন এলাকাবাসীর।

বক্তারা আরো বলেন, চাকুরির পাওয়ার জন্যে বয়স কমিয়ে শিবপ্রসাদ সরকার বড় ভাই হয়েও হয়েছেন ছোট। তার ছোট ভাইয়ের নাম উত্তম কুমার সরকার। কিন্তু চাকুরি পাওয়ার উদ্দেশ্যে তার ভাগ্নি রবীন্দ্র নাথের সহযোগিতায় ভোটার আইডি কার্ড একাধিকবার পরিবর্তন করেছেন। বয়স কমানোর ফলে বড় ভাই কাগজপত্রে হয়েছেন ছোট, আর ছোট ভাই হয়েছেন বড়। শিবপ্রসাদ এপর্যন্ত প্রায় ৩ বার তার জাতীয়পরিচয়পত্র পরিবর্তন করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বুধহাটা ইউনিয়ন পরিষদের জন্ম নিবন্ধন ভলিউম বইয়ে দেখা গেছে শিব প্রসাদের নামের স্থানে ফ্লুট মেরে কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। সে সময় শিব প্রসাদের ভাগ্নি রবীন্দ্র নাথ ইউনিয়নের জন্ম নিবন্ধনের তালিকা প্রস্তুতের দায়িত্বে ছিলেন। পিএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে শিবপ্রসাদ ড্রাইভিং লাইন্সের জন্য ৮ম শ্রেণির একটি সনদ নিয়েছেন।

বক্তারা বলেন, এবিষয়ে অহিত হওয়ার পর আশাশুনি উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস প্রথম দিকে তদন্ত করে সঠিকভাবে রিপোর্ট দিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিলেও বর্তমানে এড়িয়ে তারা যাচ্ছেন। অভিযুক্তরা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার দিচ্ছেন যে, শিক্ষা অফিসারদের ম্যানেজ করা হয়েছে। তাদেই কিছুই হবে না। বক্তারা উক্ত বিষয়ে সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

খুলনা গেজেট/কেএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!