খুলনা নগরীর পিটিআই মোড়ের আহসান আহমেদ সড়ক অংশে ড্রেনের ওপরের স্লাব ও ফুটপাত ভেঙে ফেলেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। সেখানে নতুন করে স্লাব ও ফুটপাত নির্মাণ করতে শহীদ এন্টারপ্রাইজ নামের এক ঠিকাদারকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। স্লাব ভাঙার পর বন্ধ হয়ে গেছে নির্মাণ কাজ। এতে সড়কের একপাশ চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। ড্রেনের পাশে কোনো সতর্ক সংকেতও দেওয়া হয়নি। এতে করে স্কুল ও কোচিংগামী শিক্ষার্থী ও পথচারীরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। কেসিসি ও ঠিকাদারের গাফিলতিতে সেখানে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, নগরীর পিটিআই মোড়ের আহসান আহমেদ সড়কের প্রবেশ পথের অংশটি দীর্ঘদিন ধরেই ভাঙা ছিল। সম্প্রতি ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ওই অংশে নতুন করে স্লাব নির্মাণের উদ্যোগ নেয় কেসিসি। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ড্রেনের ওপর স্লাবের পুরো অংশ ভেঙে ফেলে ঠিকাদার। কাজটি শহীদ এন্টারপ্রাইজের নামে হলেও ভাঙার কাজ তদারকি করতে দেখা যায় ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়নাকে। স্লাব ভাঙার কাজ শেষ হলে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় কাজ। এতে ড্রেনের ওই অংশ দিয়ে চলাচল সম্পূর্ণ ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে।
অভিভাবকরা জানান, আহসান আহমেদ সড়কে সেন্ট জোসেফস উচ্চ বিদ্যালয়, খুলনা করোননেশন সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, খুলনা শিশু বিদ্যালয়সহ প্রায় তিন ডজন কোচিং সেন্টার ও প্রাইভেট ব্যাচ রয়েছে। প্রতিদিন সড়ক দিয়ে যাতায়াত করে প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থী। এর বড় অংশ পিটিআই মোড়ে ফুটপাত ওপর দিয়ে যাতায়াত করে। ফুটপাত ও স্লাব ভেঙে ফেলায় তাদের যাতায়াত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ওই এলাকার ঝুঁকিপূর্ণ অংশে কোনো সাইনবোর্ড বা চিহ্ন নেই। বর্ষাকালে পুরো এলাকায় পানিতে সয়লাব হয়ে যায়। এতে দুর্ঘটনা ঝুঁকি আরও বেড়ে যায়।
সিরাজুল ইসলাম নামের এক অভিভাবক বলেন, “শিশুদের যাতায়াতের স্থান নিয়ে আরও দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখা উচিত ছিল। দ্রুত ড্রেন ও ফুটপাতের কাজ শেষ করা উচিত।”
কেসিসির নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মোঃ মাসুদ করিম বলেন, “পূজোর মধ্যে সড়কে কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ জানানো হয়েছে। পূজোর পরেই দ্রুত কাজ শুরু হবে এবং নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে।”
খুলনা গেজেট/এনএম