বৃহস্পতিবার । ২রা অক্টোবর, ২০২৫ । ১৭ই আশ্বিন, ১৪৩২

বিসিবি নির্বাচন নিয়ে তামিম, ‘ইলেকশন না সিলেকশন হয়ে যাচ্ছে’

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন তামিম ইকবাল। নির্বাচনের আগে বর্তমান সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলের বিভিন্ন কর্মকান্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক।

যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার সঙ্গে তামিমের কথা হয়েছিল। বাংলাদেশ দলের সাবেক ওপেনার তাকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়েছিলেন, আমাদের স্পোর্টস অ্যাডভাইজারের সাথে আমার দেখা হয়েছিল। তখন তাকে আমি একটি কথাই বলেছিলাম- ভাইয়া, আমি আপনার কাছ থেকে কিছুই চাই না। আমি শুধু একটি বিষয়ই চাই, আর তা হলো একটি সুষ্ঠু নির্বাচন হোক। এর বাইরে আমি তার কাছে কোনো দাবি করিনি, কিছুই চাইনি। কিন্তু তারপর থেকে আমরা যা দেখতে শুরু করেছি, কিংবা জেলা ও বিভাগে যা ঘটছে, এমনকি ক্লাব পর্যায়েও যা চলছে- সেগুলো ঠিকভাবে হচ্ছে না।

তামিম অভিযোগ করে আরো বলেন, ১৬ তারিখে বা তার আগে তাদের জানানো হলো যে সময়সীমা আমরা বাড়াবো। অর্থাৎ ১৭ তারিখ থেকে তা ১৯ তারিখ পর্যন্ত বর্ধিত করা হলো। দ্বিতীয়বার আবার ১৯ তারিখ থেকে সেটিকে ২২ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। প্রথমবার যখন সময়সীমা বাড়ানো হয়, তখন তাদের ডিরেক্টর গ্রুপে বিষয়টি প্রস্তাব আকারে দেওয়া হলে তিন-চারজন ডিরেক্টর এতে সম্মতি জানান। ফলে বিষয়টি ১৯ তারিখ পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু দ্বিতীয়বার যখন সময়সীমা বাড়ানো হলো, তখন বিসিবি প্রেসিডেন্ট ছাড়া আর কেউ হ্যাঁ বা না কোনো মতামতই দেননি। তিনি নিজের ইচ্ছাতেই সময়সীমা বাড়িয়ে দিলেন।

নির্বাচন কমিশন গঠনের পর সবধরনের যোগাযোগের দায়িত্ব কমিশনের ওপর বর্তায়। অথচ এরপরও বিসিবি সভাপতি নিজে চিঠিতে স্বাক্ষর করছেন, যা নিয়মের পরিপন্থী বলে মনে করেন তামিম। এই নির্বাচনকে সিলেকশন আখ্যা দিয়েছেন তামিম।

তিনি বলেন, এখন মজার বিষয় হলো, আপনারা কিছুদিন আগেই দেখেছেন- যাকে ইচ্ছা অ্যাডহক কমিটি থেকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে, আবার যাকে ইচ্ছা সেই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। যদি এভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চান, তবে এটি তো ইলেকশন হলো না। বরং এটি সিলেকশন হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়া উচিত।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন