বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আমাদের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দিকে বেশি জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে ড্রাইভারদের সচেতন হতে হবে। গাড়ির মালিকদের দেখতে হবে গাড়ি ফিট আছে কিনা। এটা কিন্তু তার নাগরিক দায়িত্ব।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিআরটিএ খুলনা সার্কেল কার্যালয়ের সভাকক্ষে খুলনায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট পরিবারের সদস্যের মাঝে চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিআরটিএর চেয়ারম্যান বলেন, কারো না কারোর ত্রুটির কারণে দুর্ঘটনা ঘটে। সবাই মিলে আমরা দায়বদ্ধতা কাঁধে নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করব।
অনুষ্ঠানে বিআরটিএর পক্ষ থেকে খুলনা জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত আট পরিবারের সদস্যের প্রত্যেককে ৫ লাখ করে মোট ৪০ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানের বিআরটিএর কর্মকর্তারা, খুলনা জেলা বাস, ট্রাক ও মটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
চেক প্রাপ্তরা হলেন, নিহত মো. জাহাতাপ হোসেনের বড় ভাই হুমায়ুন কবির আদম, মিঠু মুন্সির পিতা আবু জাফর মুন্সী, তুহিন মুন্সির স্ত্রী মৌসুমী আক্তার বাপেজা, ফিরোজের পিতা মো. কামরুল মোল্লা, মো. রুহুল আমিন শেখের ভাই মো. রিপন হোসাইন, মো. জাকির হোসেনের স্ত্রী বিউটি পারভিন, মো. সাইফুল ইসলামের স্ত্রী মিসেস আসমা ও মো. আজাহারুল মোল্লার পিতা মো. আলমগীর মোল্লা।
বিআরটিএর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জাহাতাপ হোসেনের স্ত্রী রেক্সোনা বেগম বলেন, আমার স্বামী ছিলেন একজন দরিদ্র ভ্যানচালক। ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর ডুমুরিয়া উপজেলার খুলসী নামক স্থানে সাধু নামক মালবাহী যানবাহনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলে নিহত হয়। স্বামী হারিয়ে দুই সন্তানকে নিয়ে নিদারুণ কষ্টের দিন কাটিয়েছি। দারিদ্রতার কারণে বড় ছেলের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়।
দুই ছেলেকে নিয়ে রেক্সোন বেগম বসবাস করেন যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার কুমারঘাটা মনোহরপুর গ্রামের স্বামী রেখে যাওয়া ছোট্ট একটি কুঁড়েঘরে। ৫ লাখ টাকার চেক পেয়ে তিনি আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া আদায় করেন। টাকা দিয়ে এক টুকরা জমি কেনার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।
খুলনা গেজেট/এমএম