পাকিস্তানে ভয়াবহ গোলাগুলি-সংঘর্ষ, ১২ সেনাসহ নিহত ৪৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে অন্তত ৩৫ জন ‘ভারত মদদপুস্ট সন্ত্রাসীকে’ হত্যা করেছে পাকিস্তানি সেনারা। একই সঙ্গে তীব্র গোলাগুলির মুখে ১২ জন সেনা হারিয়েছে দেশটি। শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ দপ্তর (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

আইএসপিআর জানায়, ১০ থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুটি আলাদা অভিযানে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। বাজউর জেলায় গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত অভিযানে সেনারা সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালায়। টানা গোলাগুলির পর নিহত হয় ২২ জন সন্ত্রাসী।

অন্যদিকে দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তানে পরিচালিত পৃথক অভিযানে আরও ১৩ জন ‘সন্ত্রাসী’ নিহত হয়। এ সময় তীব্র গুলিবিনিময়ে প্রাণ যায় ১২ জন সেনার। তবে এই অভিযানকে পাক সেনাদের অন্যতম সাফল্য হিসেবে বর্ণনা করেছে আইএসপিআর।

বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযানে জব্দ করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ। নিহতরা ভারত-সমর্থিত “ফিতনা আল-খাওয়ারিজ” গোষ্ঠীর সদস্য এবং তারা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিল বলেও উল্লেখ করা হয় এতে।

আইএসপিআর আরও জানায়, গোয়েন্দা প্রতিবেদনে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এসব হামলায় আফগান নাগরিকরাও জড়িত ছিল। বিবৃতিতে সামরিক বাহিনী বলেছে, ফিতনা আল-খাওয়ারিজ গোষ্ঠী আফগান ভূমি ব্যবহার করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে, যা উদ্বেগজনক। পাকিস্তান আশা করে আফগান সরকার দায়িত্বপূর্ণ আচরণ করবে এবং তাদের ভূমি সন্ত্রাসের জন্য ব্যবহার করতে দেবে না।

এলাকাগুলোতে সন্ত্রাসী তৎপরতা নির্মূল করতে এখনও অভিযান চলছে। আইএসপিআর বলেছে, ‘আমাদের সাহসী সেনাদের আত্মত্যাগ পাকিস্তান থেকে ভারত-পৃষ্ঠপোষক সন্ত্রাসবাদ সম্পূর্ণ নির্মূল করার অঙ্গীকারকে আরও দৃঢ় করেছে।’

২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর থেকেই পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী প্রদেশগুলোতে বেড়েছে সন্ত্রাসী হামলা। শুধু আগস্ট মাসেই পাকিস্তানে সন্ত্রাসী হামলা ৭৪ শতাংশ বেড়েছে বলে জানায় পাকিস্তান ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (পিআইসিএসএস)। ওই মাসে বিভিন্ন হামলায় ১৯৪ জন প্রাণ হারান।

সূত্র: জিও নিউজ

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন