মাঠের মেজাজ সংবাদ সম্মেলনেও খানিকটা টেনে আনলেন তানজিদ হাসান তামিম। সাংবাদিকের করা দুটো প্রশ্নের উত্তরে খানিকটা চটেও গিয়েছিলেন। তবে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে চাপ সামলে যেমন শান্ত থেকে সব এগিয়েছেন, এখানেও ব্যতিক্রম হয়নি।
পরপর দুই ম্যাচে লড়াই করতেও পারেনি নেদারল্যান্ডস। এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করে বসেছে বাংলাদেশ। ব্যাটিং, বোলিং কিংবা ফিল্ডিংয়ে টাইগাররা দেখিয়েছে দৃঢ়তা। তামিমের কাছে তাই জিজ্ঞাসা ছিল, বাংলাদেশ কি বেশি ভালো খেলছে নাকি বেশি খারাপ খেলছেন নেদারল্যান্ডস? উত্তরে পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তামিম।
টাইগার ব্যাটার জানতে চান, ‘আপনার কাছে কী মনে হয়? না মানে আপনার কাছে এটা কী মনে হয়, তা জানতে চাচ্ছি।’ পরে তামিম বলেছেন, ‘আসলে দেখেন এখানে ভালো-খারাপ বলতে কিছু নেই। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট এমন একটা খেলা, এখানে ছোট-বড় কোনো দল নেই। আগেও বলেছি, এখানে যার দিনে যে ভালো খেলবে, সে-ই জিতবে।’
বাংলাদেশ দলের অনুশীলন সেশনে পাওয়ার হিটিং কোচ জুলিয়ান উডের টোটকা যে দারুণভাবে কাজ করছে, তা বোঝাই যাচ্ছে। তানজিদ তামিম, লিটন দাস ও সাইফ হাসানের ব্যাটে চার-ছক্কার ফুলঝুড়ি ছুঁটেছে। প্রথম ও দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে রান তাড়ায় বাংলাদেশের রানরেট ছিল ১০.২২ ও ৭.৮৯। তানজিদের কাছে জানতে চাওয়া হয় আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের প্রসঙ্গে।
তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়ে বলেন, ‘আমরা তো আক্রমণাত্মক ক্রিকেটই খেলছি। আর কত আক্রমণাত্মক খেলা দেখতে চাচ্ছেন? পুরো দলকে দেওয়া হয়েছে স্বাধীনতা। সবাই যার যার মতো খেলতে পারবে। যার যে দায়িত্ব, সেটা মাঠে কাজে লাগানোর ব্যাপারে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে বলা হয়েছে।’
টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজ খুঁইয়েছে সফরকারীরা। ডাচদের বিপক্ষে পরের ম্যাচ আগামীকাল বুধবার। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় বসবে লড়াই।
খুলনা গেজেট/এনএম