ফের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা সোমবার সাত সকালে ইডির হাতে গ্রেপ্তার।
আবার মোবাইল ছুড়ে ফেলে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। সিবিআইয়ের পর এ বার ইডিকে দেখে পালানোর চেষ্টা করলেন তিনি। অভিযোগ, পালানোর সময় বাড়ির পিছনের ঝোপে একটি মোবাইল ফেলে দিয়েছেন তিনি। পরে তা উদ্ধার করা হয়েছে। আপাতত মুর্শিদাবাদের বড়ঞা থানার আন্দিতে জীবনকৃষ্ণের বাড়িতে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকেরা রয়েছেন। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। সোমবার সকাল থেকে কলকাতা এবং জেলার একাধিক জায়গায় ইডি তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এই তল্লাশি বলে খবর।
ইডির একটি দল সকাল সকাল পৌঁছে যায় জীবনকৃষ্ণের আন্দির গ্রামের বাড়িতে। বিধায়ক সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন।
সূত্রের খবর, ইডিকে দেখে বাড়ির পিছনের দরজা দিয়ে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। কেন্দ্রীয় সংস্থার তিন জওয়ান তাঁকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন। পিছনের দরজা দিয়েই নিয়ে আসেন বাড়ির ভিতরে। ইডির অন্তত পাঁচ আধিকারিক তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
সূত্রের খবর, প্রথমে ইডি আধিকারিকেরা বুঝতে পারেননি যে, বিধায়ক মোবাইল বাইরে ফেলে দিয়েছেন। বেশ কিছু ক্ষণ পরে পিছনের ঝোপে নর্দমা থেকে মোবাইলটি উদ্ধার করা হয়।
বীরভূমের সাঁইথিয়ায় জীবনকৃষ্ণের পিসি তথা ৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর মায়া সাহার বাড়িতেও ইডি গিয়েছে। তল্লাশি চলছে রঘুনাথগঞ্জে জীবনকৃষ্ণের শ্বশুরবাড়িতে। এ ছাড়া, মহিষ গ্রামের বাসিন্দা ব্যাঙ্ক কর্মচারী রাজেশ ঘোষের বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চলছে বলে খবর।
উল্লেখ্য, নিয়োগ মামলায় ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছিল। অভিযোগ, তল্লাশির সময় প্রমাণ লোপাটের জন্য জীবনকৃষ্ণ নিজের দু’টি মোবাইল ফোন পুকুরে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। দীর্ঘ তল্লাশির পর পুকুরের জল ছেঁচে তা উদ্ধার করা হয়। ১৩ মাস পর তিনি সুপ্রিম কোর্ট থেকে জামিন পান।
খুলনা গেজেট/এনএম