Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
শনিবার । ২৩শে আগস্ট, ২০২৫ । ৮ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

চকরিয়ায় থানায় যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

গেজেট ডেস্ক

কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশ হেফাজতে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। বিক্ষোভের জেরে এ ঘটনায় চকরিয়া থানা পুলিশের এক সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ও দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (২২ আগস্ট) বিকেলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম বলেন, থানা হেফাজতে আত্মহত্যা করেছেন এক যুবক। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার কারণে তিন পুলিশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

প্রত্যাহার হওয়া পুলিশ সদস্যরা হলেন- এএসআই মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মহি উদ্দিন ও ইশরাক হোসেন।

বিকেলে ৩টার দিকে চকরিয়া থানার সামনে এ ঘটনাকে ‘পরিকল্পিত হত্যা’ দাবি করে তদন্তের পাশাপাশি জড়িতদের শাস্তি চেয়ে মিছিল-স্লোগানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে স্থানীয় জনতা।

এ সময় চকরিয়া ইমাম সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করতে হবে। প্রিজন সেলে কীভাবে মানুষ মারা যায়? আসামি রাখার তো একটা জায়গা আছে, রিমান্ডে তাকে তোমরা মারলা কেন? টর্চার করলা কেন? ফাঁসি খেল কীভাবে? সে ফাঁসি খেয়েছে নাকি তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে? এসবের উত্তর চকরিয়ার মানুষ জানতে চায়।

শুক্রবার (২২ আগস্ট) ভোরে চকরিয়া থানা হাজতের ভেতরে ঝুলন্ত অবস্থায় দুর্জয় চৌধুরী (২৭) নামে ওই যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়। পুলিশের দাবি- দুর্জয় চৌধুরী আত্মহত্যা করেছেন।

চকরিয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের হিন্দুপাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে দুর্জয় চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটরের দায়িত্বে ছিলেন। দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে কথা হয় দুর্জয় চৌধুরীর ফুফাতো ভাই সঞ্জীব দাশের সাথে।

সঞ্জীব প্রশ্ন তোলেন, হাজতের বাইরে তো কনস্টেবল থাকার কথা। তাহলে কি তিনি দায়িত্বে ছিলেন না?

চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিত দাশ বলেন, আত্মহত্যার দৃশ্য কিছুটা দূরত্বের কারণে সরাসরি ধারণ না হলেও দুর্জয়ের চলাফেরা ও অন্যান্য কার্যকলাপের দৃশ্য থানার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে।

পুলিশ সদস্যদের গাফিলতি আছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সামগ্রিক বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কমিটি কাজ করছে।

পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে দুর্জয়ের কর্মরত বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে থানায় সোপর্দ করেন। ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়ের করা মামলায় তাকে রাত ১১টায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন