Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ২১শে আগস্ট, ২০২৫ । ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

লাজ ফার্মাকে জরিমানা করা হয়নি- দাবি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা রয়্যাল মোড় লাজ ফার্মাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়নি বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেল ৩টায় খুলনা প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন দাবি জানা লাজ ফার্মার ব্যবস্থাপনা অংশীদার মো. আনিসুর রহমান।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, লাজ ফার্মা নয়, জরিমানা করা হয়েছে এডোরেবেলা হেলথ কেয়ার নামের ভুয়া কোম্পানীকে। অথচ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রশিদে দেখা যায়, গত ১৮ আগস্ট লাজ ফার্মাকেই ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ জন্য গেল বুধবার ভুক্তভোগী অভিযোগকারী মো. সাইফুল্লাহ আল রাবিকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ২৫ শতাংশ হিসেবে ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা তুলে দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা অংশীদার মো. আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনাটি বেশ কয়েকটি মিডিয়া সম্পূর্ণ দায়ভার লাজ ফার্মার ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে, যা অত্যন্ত দু:খ জনক।

তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার জানিয়েছে- অভিযোগটি যেহেতু আপনাদের নামে হয়েছে, সেহেতু শেষ করতে হলে আপনাদের নাম ব্যবহার করতে হবে।

পণ্যটি ফিলিপাইন থেকে আনা হয়েছে এমন মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে কিভাবে বিক্রি করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পণ্যের মান যাচাইয়ের যন্ত্র আমাদের কাছে নেই। যে কারণে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তবে তিন মাস আগেই আমরা পণ্যটি প্রত্যাহার করি।

তাছাড়া প্রডাক্টগুলো র‌্যাপিং করা থাকে সেটা খুলে আমাদের গুণগত মান টেষ্ট করা সম্ভব হয় না। এ দায়িত্ব ওষুধ প্রশাসনের। এ প্রডাক্টগুলো ইমপোর্ট হয়ে আসছে। তারা এ শহরের অনেক ওধুষ ফার্মেসীগুলোতে সরবরাহ করা হয়েছে। তারই ধারাবহিকতায় প্রডাক্টটি লাজ ফার্মায় আসছে। আমরা কোম্পানীর ইনভয়েসের মাধ্যমে ক্রয় করেছি।

অপরএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন- চিকিৎসকরা এই প্রডাক্টগুলোকে ব্যবহার করার জন্য ব্যবস্থাপত্রে উল্লেখ করেন। সে কারণে কাষ্টমারদের জন্য রাখতে হয়।

জানা গেছে, গত মে মাসে মো. সাইফুল্লাহ আল রাব্বি নামে জনৈক ভোক্তা তার মায়ের জন্য ফিলিপাইনের এপেক্স পয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি নামে এডোরাবেলা হেলথকেয়ার, ঝিনাইদহে বাজারজাতকৃত ইচিং রিলিফ নামে একটি লোশন লাজ ফার্মা লি. সোনাডাঙ্গা শাখা থেকে ক্রয় করেন। লোশনটি ক্রয়ের পর তার কাছে নকল ভেজাল ওষুধ বলে সন্দেহজনক মনে হওয়ায় মোড়কের গায়ে লেখা বারকোড স্ক্যান করে সংশ্লিষ্ট ফিলিপাইনের এপেক্স পয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালসের সাথে যোগাযোগ করলে তারা ওষুধটিকে নকল ও ফেক প্রোডাক্ট হিসেবে জানান। এর প্রেক্ষিতে তিনি ভোক্তা অধিদপ্তরে অভিযোগ করেন।

অভিযোগ পেয়ে ভোক্তা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিম বিষয়টি তদন্ত করেন এবং ঘটনার সত্যতা পান। ১৮ আগস্ট লাজ ফার্মা লিমিটেড নকল ভেজাল ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান এডোরাবেলা হেলথকেয়ারের প্রতিনিধি মো: তানভীর আহমেদ পলাশকে নকল ভেজাল ওষুধসহ হাতেনাতে ধরে ভোক্তা অধিদপ্তরের কাছে সোপর্দ করেন। পরে উভয় প্রতিষ্ঠানের পক্ষে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করলে উপ-পরিচালক মোহাম্মদ সেলিম ভোক্তা অধিকার আইনে লাজ ফার্মাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

খুলনা গেজেট/এমএম/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন