হোয়াইট হাউজে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক নিয়ে সন্তুষ্ট ইউরোপীয় নেতারা। খবর সিএনএনের।
বৈঠক শেষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পুতিন ও জেলেনস্কির মধ্যে বৈঠকের আয়োজন চলছে। এই দুই নেতার মুখোমুখি বৈঠকের পর তাদের সাথে ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় বসবেন তিনি।
বৈঠক শেষে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা নিয়ে সত্যিকারের অগ্রগতি হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজকের বৈঠকটি চমৎকার এবং গঠনমূলক ছিলো।’
এছাড়াও বৈঠকে অংশ নেন ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন, ন্যাটো প্রধান মার্ক রুত্তে, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ও ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি।
বৈঠকের পর ন্যাটো প্রধান মার্ক রুত্তে বলেন, ‘রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে যেভাবে মানুষ হত্যা হচ্ছে, তা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া ইউক্রেনের অবকাঠামো ধ্বংসও আমাদের বন্ধ করতে হবে। এটি একটি ভয়াবহ যুদ্ধ।’
যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ায় তিনি ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ট্রাম্প ‘অচলাবস্থা ভেঙেছেন’।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েলে ম্যাক্রোঁ বলেছেন, ‘আজকের আলোচনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল ছিরো ইউক্রেনের নিরাপত্তার নিশ্চয়তার জন্য মার্কিন প্রতিশ্রুতি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে একমত হয়েছি যা কয়েক দিন বা সপ্তাহ আগেও স্পষ্ট ছিল না। প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিলো নিরাপত্তা পরিকল্পনা আরো উন্নত করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি।’
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মার্জ বলেন, ‘আমি কল্পনাও করতে পারছি না যে, পরবর্তী বৈঠক যুদ্ধবিরতি ছাড়া হবে। তাই, আসুন আমরা এটি নিয়ে কাজ করি এবং রাশিয়ার ওপর চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করি।’
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি বলেন, ‘আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে কথা বলব। এর প্রথমটি হলো, নিরাপত্তার নিশ্চয়তা। এটা কীভাবে নিশ্চিত করা যায় যে, এটি (যুদ্ধ) আবার ঘটবে না। এটাই সব ধরনের শান্তির পূর্বশর্ত।’
ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব বলেন, ‘প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে, আজ আমরা যে এই টেবিলে বসেছি, এটা খুবই প্রতীকী। তা এই অর্থে যে, টিম ইউরোপ ও টিম যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে সহায়তা করছে।’
খুলনা গেজেট/এনএম