ডুমুরিয়ায় কুরুচিপূর্ণ উপন্যাস লেখার অভিযোগে মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মন্ডলের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের সামনে মির্জাপুর সড়কে অভিভাবক ও এলাকাবাসীর আয়োজনে এ মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি নেতা সরোয়ার হোসেন। বক্তব্য দেন জিন্নাত মোড়ল, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিরঞ্জন বিশ্বাস, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র মহাইমিন মোড়ল, হাফেজ রুহুল আমীন বাগাতি প্রমুখ। মানববন্ধনে দেড় শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
বক্তারা বলেন, প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মন্ডল ২০১৭ সালে প্রকাশিত নিজের লেখা ‘তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে’ উপন্যাসে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ভাষা ব্যবহার করেছেন। সমাজে সমালোচিত এ বইটি বিদ্যালয়ের লাইব্রেরি থেকে সরিয়ে রাখার কথা থাকলেও এখনো সেখানে রাখা হয়েছে। তারা প্রধান শিক্ষকের অপসারণসহ শাস্তির দাবি জানান।
এদিকে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বাঁধা দেওয়ায় শিক্ষক ওলিয়ার রহমান লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তিনি বলেন, “প্রধান শিক্ষক ছুটিতে থাকায় শিক্ষার্থীদের মানববন্ধনে যেতে নিষেধ করি। এসময় আচমকা এক শিক্ষার্থী আমার উপর আক্রমণ করে।”
বিদ্যালয়ের শিক্ষক দিনবন্ধু মন্ডল বলেন, “উপন্যাসটিতে আপত্তিকর কিছু ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের এটি না পড়ানোই ভালো।”
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক প্রশান্ত কুমার মন্ডল বলেন, “২০১৭ সালে ‘তেপান্তরের মাঠ পেরিয়ে’ উপন্যাসটি ২৫০ কপি মুদ্রিত হয়। রমা নামের একটি কাল্পনিক চরিত্রকে ঘিরে লেখা হয়েছে বইটি। কিছু ভাষায় ত্রুটি থাকায় এলাকাবাসী আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে।”
মানববন্ধনের ঘটনায় বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হয়। নির্ধারিত সময় স্কুল ছুটলেও সেদিন মাত্র একটি ক্লাসে পাঠদান হয়।
প্রসঙ্গত, উপন্যাসটির ভাষা অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও অশ্লীল বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এ ধরনের বই পড়লে বিপথগামী হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। গত ১০ আগস্ট অষ্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী বইটি পড়েছে, যা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এসএস