পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ খাইবার পাখতুনখোয়ায় ত্রাণসামগ্রী বহনকারী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৫ আগস্ট) এক কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যমডন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাদেশিক সরকারের এমআই-১৭ হেলিকপ্টারটি খারাপ আবহাওয়ার কারণে সৃষ্ট ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে পড়া এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বহন করছিল। এমন পরিস্থিতিতে বিধ্বস্ত হয় হেলিকপ্টারটি।
প্রদেশটির মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গন্ডাপুর বলেছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে মোহমান্দ জেলার পান্ডিয়ালি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি বাজাউর এলাকায় ত্রাণ সরবরাহ করছিল।
প্রাথমিক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, খাইবার পাখতুনখোয়া সরকারের এমআই-১৭ হেলিকপ্টারটি পেশোয়ার থেকে বাজাউরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সময় মোহমান্দ জেলায় যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উদ্ধারকারী কর্মকর্তাদের একটি দল দুর্ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (এনডিএমএ) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, বৃষ্টিপাত এবং আকস্মিক বন্যায় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশেই নিহত হয়েছেন ১৫০ জন। প্রদেশটিতে এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অনেকে।
এনডিএমএ প্রকাশিত বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, গিলগিট-বালতিস্তান প্রদেশে পাঁচজন এবং পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরে নয়জন নিহত হয়েছেন। প্রাদেশিক উদ্ধার ইউনিটের মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফৈজি এর আগে আনাদোলুকে জানান, ভারী বৃষ্টিপাত এবং মেঘ ভাঙনের ফলে খাইবার পাখতুনখোয়ায় দেখা দিয়েছে ব্যাপক বন্যা।
উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, শুক্রবার সকালে বাজাউর জেলার সালারজাই এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত এবং মেঘ ভাঙনের ফলে ব্যাপক বন্যা দেখা দিয়েছে, ভেসে গেছে অনেক বাড়িঘর। খাইবার পাখতুনখোয়া এবং গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলে বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের কারণে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অনেক মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়েও নিয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার থেকে ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও এক দফা বৃষ্টিপাতের সতর্কতা জারি করেছে এনডিএমএ। জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায়শই পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় স্থায়ী মৌসুমি বৃষ্টিপাত।
খুলনা গেজেট/এএজে