Edit Content
খুলনা, বাংলাদেশ
বৃহস্পতিবার । ২১শে আগস্ট, ২০২৫ । ৬ই ভাদ্র, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

লোহাগড়ার সোয়েবুর খান হত্যার রহস্য উদঘাটন

লোহাগড়া প্রতিনিধি

নড়াইলের লোহাগড়া পৌরসভা এলাকায় সোয়েবুর খান (৪৬) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে লোহাগড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত সবুজ শেখ (৩৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে লোহাগড়া থানার হলরুমে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান লোহাগড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম।

গ্রেপ্তারকৃত সবুজ শেখ লোহাগড়া উপজেলার কালনা গ্রামের মৃত আহাদ শেখের ছেলে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে শরিফুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে লোহাগড়া পৌরসভার মাইটকুমড়া এলাকার ইউনুস খানের ছেলে সোয়েবুর খান নামে এক ব্যক্তি বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে যাননি। পরদিন শুক্রবার (৮ আগস্ট) দুপুরে মাইটকুমড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে সোয়েবুরের লাশ উদ্ধার করা হয়। রোববার (১০ আগস্ট) বিকেলে তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যায় জড়িত সবুজ শেখ নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে সবুজ শেখ স্বীকার করে যে ঘটনার দিন মধ্যরাতে (বৃহস্পতিবার) এক নারীকে তিনি বিবস্ত্র অবস্থায় দেখছিলেন। এমন সময় সোয়েবুর সেটি দেখে ফেলেন এবং তা সবাইকে বলে দেবেন বললে দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায়ে সবুজ শেখ সোয়েবুর খানের গলা চেপে তাকে হত্যা করেন।

আসামির স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, সোয়েবুরের মরদেহ লুকিয়ে রাখার জন্য তার সঙ্গে থাকা গামছা দিয়ে গলা পেঁচিয়ে পাশের পুকুরে টেনে নিয়ে যান এবং পুকুরের কচুরিপানার মধ্যে লুকিয়ে রাখেন। পরে তার কাছে থাকা মোবাইল ফোন নিয়ে চলে যান। আসামি সবুজ শেখ হত্যার কাজে ব্যবহৃত গামছাটি কালনা মধুমতি নদীর ঘাটে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পানিতে ফেলে দেন। মোবাইল ফোনের সিমটি ভেঙে নিজের বাড়ির পাশে ফেলে দেন এবং মোবাইলটি নিজ কক্ষের আলমারিতে রেখে দেন।

ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় সবুজ শেখকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত সোয়েবুরের স্ত্রী রিক্তা বেগম। এছাড়া সোয়েবুরের মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে। আসামিকে সোমবার (১১ আগস্ট) আদালতে পাঠানো হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন