পাইকগাছায় জমি পরিমাপ না করে প্রতিবন্ধীর জমি দখল করে সীমানা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নিষিদ্ধ দল আওয়ামী দোষরদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে।
জিডি সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কপিলমুনি গ্রামের মৃত সাধন চন্দ্র দে’র ছেলে অজয় কুমার দে কপিলমুনি মৌজায় এসএ ১৬২, বিএসআর ৯০ ও ৯২ দাগে খরিদ, দানপত্র এবং ওয়ারিশ সূত্রে ০.০৩৮ একর জমির মালিক। উক্ত সম্পত্তি থেকে ০.১৩ একর জমি বিক্রি করে বাকি জমি শান্তিপূর্ণভাবে ভোগ দখলে আছেন।
প্রতিবন্ধী অজয় দে জানান, সম্প্রতি আমাদের জমিতে মাটি ও বালু ভরাট করে উঁচু করায় জমির মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে পার্শ্ববর্তী এসএ ১৭৮, ডিপি ৯১ দাগের মালিক একই এলাকার মৃত অজিত অধিকারীর ছেলে উত্তম অধিকারী ও বাসুদাম অধিকারী গংদের আমার জমির উপর কুনজর পড়ে। তারা জমির সীমানা মাপজোক না করে আমার বেশ কিছু জমির উপর দিয়ে পাকা প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নেয়। সীমানা পরিমাপ করে প্রাচীর নির্মাণের কথা বললে উত্তম গং তা মানছেন না। উপরন্তু বিভিন্ন অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করে খুনজখমসহ শ্মশানে পাঠিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। উপায় না পেয়ে আমি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ বন্ধে কপিলমুনি পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দিয়েছি এবং পাইকগাছা থানায় উত্তম গংদের বিরুদ্ধে জিডি করেছি (নং ৩৩১)।
তিনি আরো বলেন, গত ২০২২ সালের ১১ নভেম্বর উত্তম গং খুলনা জেলা নিষিদ্ধ দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুজিত অধিকারীর আত্মীয় পরিচয়ে ক্ষমতার দাপটে আদালতের দেওয়া ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বাড়িঘর ভাঙচুর ও আমাদের বেদম মারধর করে। সরকারের পট পরিবর্তন হলেও এক অদৃশ্য কারণে আবারো ক্ষমতার জোরে আমার জমি দখল করে প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে।
উত্তম অধিকারী জানান, পুকুর ভরাট হওয়ার কারণে আমার বাড়ির একপাশে অরক্ষিত থাকায় প্রাচীর নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এসময় অজয় দে ফাঁড়িতে অভিযোগ দিলে সেটা বন্ধ রাখছি। সময়-সুযোগ বুঝে প্রাচীর দিয়ে নেব।
খুলনা গেজেট/এএজে