চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) নাট্যকলা বিভাগে নিয়োগ চূড়ান্ত হলেও শেষ মুহূর্তে বাদ পড়েছেন দুই প্রার্থী। ডোপ টেস্টে গাঁজা সেবনের প্রমাণ মেলায় তাদের নিয়োগ স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
ডোপ টেস্টে ফেল করা ওই দুই প্রার্থী হলেন গোলাম রাব্বানী ও ড. ইমরুল আসাদ। নাট্যকলা বিভাগের প্রভাষক পদে লিখিত, প্রেজেন্টেশন ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন তারা। কিন্তু গত সোমবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেলে ডোপ টেস্ট করালে দুজনের রিপোর্টেই গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি ধরা পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মোহাম্মদ আবু তৈয়ব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা পরীক্ষায় গাঁজা জাতীয় মাদকের উপস্থিতি পেয়েছি। এটি স্পষ্টভাবে পজিটিভ ফলাফল।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৮ জুলাই নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের লিখিত, প্রেজেন্টেশন ও মৌখিক পরীক্ষা একদিনেই সম্পন্ন হয়। এরপরই চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে নেওয়া হয় ডোপ টেস্ট।
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টদের মাঝে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। চবির বাংলাদেশ স্টাডিজ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আশিক ইসলাম বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আর শিক্ষকরা হলেন সেই মেরুদণ্ড গঠনের কাণ্ডারী। তারা যদি মাদকাসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে জাতি গঠনে তারা কীভাবে ভূমিকা রাখবে। তাছাড়া তাদের মাধ্যমে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা তৈরি হবে বলে আমার মনে হয় না।
এ বিষয়ে উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামীম উদ্দিন খান বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থী—সবার নিয়োগেই ডোপ টেস্ট বাধ্যতামূলক। যাদের রিপোর্ট পজিটিভ আসবে, তাদের আমরা নিয়োগ দেব না। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষা পাবে।
অন্যদিকে চূড়ান্ত নিয়োগ হবে কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাইলে (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার সাইফুল ইসলাম বলেন, যেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের ডোপ টেস্ট করানো হয়, সেখানে এমন প্রার্থীকে কীভাবে আমরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে পারি। ফলাফল পজিটিভ আসলে কাউকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেওয়ার সুযোগ নেই।
খুলনা গেজেট/এইচ