যশোরের সাবেক এমপি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও তার স্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধ এবং অস্থাবর সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আয়কর নথি জব্দের আদেশ দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের পিপি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম।
দুদকের দায়ের করা একটি মামলায় আলাদা তিনটি আবেদনের প্রেক্ষিতে যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম এই আদেশ প্রদান করেন।
দুদকের পিপি অ্যাড. সিরাজুল ইসলাম জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ও মণিরামপুরের সাবেক এমপি, প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্যের বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ২৪ ডিসেম্বর দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে একটি মামলা হয়। একক আসামির এই মামলাটি করেন দুদকের ঢাকার প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আল আমিন। একই কর্মকর্তা মামলাটি তদন্ত করছেন।
গত ২৬ জুন আসামি স্বপন ভট্টাচার্য্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা, স্থাবর সম্পদ অরুদ্ধ ও অস্থাবর সম্পদ ক্রোক এবং আয়কর নথি জব্দের জন্য আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রোববার শুনানি শেষে ৩টি আবেদনই মঞ্জুর করেন স্পেশাল জজ (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ নাজমুল আলম। তার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের পরিমাণ দুই কোটি ৪৮ লাখ ৭১ হাজার ১৫১ টাকা।
এছাড়া তার ১৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ৪১ কোটি ৬৪ লাখ ৮২ হাজার ৩৩৪ টাকা জমা এবং ৪০ কোটি ৩১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৯৪ টাকার উত্তোলন অর্থাৎ অস্বাভাবিক লেনদেন হয়েছিলো। আদেশের প্রেক্ষিতে ১৯টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ক্রোক এবং শহরের লালদিঘির পাড়স্থ বাড়ি ও ঢাকার ফ্ল্যাট অবরুদ্ধের বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে দুদক বলে জানানো হয়েছে।