সব জল্পনার অবসান হল অবশেষে। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে রাজ্য মন্ত্রীসভার পরিবহণ মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ফায়ারব্র্যান্ড নেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো ইস্তফাপত্রে শুভেন্দু জানিয়েছেন যে তিনি রাজ্যপাল জগদীপ ধানখরকেও তাঁর ইস্তফাপত্র ই-মেল করে পাঠিয়ে দিয়েছেন। ইস্তফা দেওয়ার কয়েকঘন্টা আগে শুভেন্দু তাঁর পাইলট ভ্যান এবং দেহরক্ষী ছেড়ে দেন।
বৃহস্পতিবার শুভেন্দু যখন হুগলি রিভারব্রিজ কমিশনের চেয়ারম্যান এর পদে ইস্তফা দেন তখনই দেওয়ালের লিখন বোঝা গিয়েছিলো শুক্রবার দুপুরে সেই জিরো আওয়ার এল। তৃণমূল কংগ্রেসে শুভেন্দুকে রেখে দেওয়ার চেষ্টায় সিনিয়র নেতা ও সাংসদ সৌগত রায় দৌত্য করেছিলেন। শুভেন্দু তাঁকে সাফ জানান যে, মমতা বন্দোপাধ্যায়কে নিয়ে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু প্রশান্ত কিশোর ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায় এর আধিপত্য তাঁর পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। মমতা যে এই বক্তব্য মেনে নিচ্ছেন না তা তাঁর বাঁকুড়া জনসভায় ভাষণ থেকে বোঝা যায়। তারপরই শুভেন্দুর এই সিদ্ধান্ত।
শুভেন্দুর বিজেপিতে যোগদান এখন সময়ের অপেক্ষা মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। তবে, আলাদা দল গড়ার রাস্তাও কি খোলা রাখছেন শুভেন্দু? সময় এই প্রশ্নের জবাব দেবে। আর একটি প্রশ্নেরও জবাব মিলবে যে তৃণমূল এর বরিষ্ঠ নেতাদের মধ্যে কেউ শুভেন্দুর অনুগামী হন কিনা।
খুলনা গেজেট /এমএম