জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে আজ এক ঐতিহাসিক দিন। সব ইসলামী দল, ব্যক্তিত্বের মধ্যে ভিন্ন মত থাকা সত্ত্বেও আজকে যে ঐক্যের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে, চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ রেজাউল করীমের নেতৃত্বে যারা একমঞ্চে বসে আছেন, তারাই নতুন এই ঐক্যের কান্ডারী। এই নতুন ইতিহাস সৃষ্টিতে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। শনিবার (২৮ জুন) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে উদ্দেশ্য করে গোলাম পরওয়ার বলেন, সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান আপনি। একইসঙ্গে সিইসিকে বলতে চাই। পিআর পদ্ধতি ছাড়া কোন নির্বাচন দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। আপনারা নিরপেক্ষ থাকার অঙ্গীকার রক্ষা করুন। আপনারা সোজা থাকবেন। এরইমধ্যে পক্ষপাতিত্বে কিছু আলামত দেখতে পেয়েছি। আপনাদের কাছ থেকে কোন পক্ষপাতিত্ব চাই না।
গোলাম পরওয়ার বলেন, দুই হাজার ছাত্রজনতার জীবন, হাজার হাজার মানুষের জেলজুলুম, হত্যা, ফাঁসির বিনিময়ে যে সংগ্রাম সফল হয়েছে তা আমরা ব্যর্থ হতে দেব না।
নির্বাচনের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, কোন একটি দলের সঙ্গে আলোচনায় নিরপেক্ষতা ভঙ্গ হয়েছে। একটি দলের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে পারেন না। আপনাদেরকে নিরপেক্ষতার প্রমাণ দিতে হবে।
তিনি বলেন, গণহত্যার বিচার অবশ্যই করতে হবে। দিল্লিতে বসে হাসিনা আবার এদেশকে সেবাদাসে পরিণত করার ষড়যন্ত্র করছে। অবশ্যই বিচার করতে হবে। তিনি বলেন, সংষ্কারে অনেকে ঢিলা দিচ্ছে। তারা বলছেন-ক্ষমতায় গিয়ে সংস্কার করবেন। কীভাবে বুঝলেন আপনারা ক্ষমতায় যাবেন? নতুন কোন ফ্যাসিবাদ জন্ম হোক- আমরা চাই না। এক কোটি প্রবাসীর ভোটার নিশ্চিত করতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে দিতে হবে। জুলাই বার্ষিকী পালন করা হবে, এরমধ্যেই জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করতে হবে।
তিনি বলেন, জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান চরমোনাই পীরকে সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি জাতীয় ঐক্যের জন্য যে ভূমিকা রেখেছেন, চরমোনাই পীর তাতে উদারতা দেখিয়ে নতুন ইতিহাসের জনক থাকলেন। সবাইকে একমঞ্চে দেখে গ্রামে গঞ্জে ঐক্যের জোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এএজে