টানা চার মাস ধরে খুলনা প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এ অচলাবস্থা বিরাজ করছে। চলমান অচলাবস্থা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবকদের মাঝে যেমন উদ্বেগ উৎকণ্ঠা, হতাশা বিরাজ করছে, ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অচলাবস্থা নিয়ে অনেক শিক্ষকের ভিতরও অস্থিরতা বিরাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক চলমান এহেন পরিস্থিতি নিয়ে তাদের উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা এবং অস্থিরতার কথা প্রকাশ করেছেন। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে, সেশনজট এবং শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এ সকল শিক্ষক চান দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হোক।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. আতাউর রহমান তার Ataur Rahman নামে ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট দিয়েছেন। যাতে তিনি লিখেছেন, ‘ভিসি ছাড়াও একটি প্রতিষ্ঠানের ক্লাস, পরীক্ষা সহ সকল একাডেমিক কার্যক্রম চালু করা যায়। আগামী রবিবার থেকে অবশ্যই চালু করতে হবে’। একই আইডি থেকে অন্য একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘প্রায় চার মাসের উপরে কুয়েটে ক্লাস, পরীক্ষা, সবকিছু বন্ধ, এর পুরা দায় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে নিতে হবে’।
তার এ পোষ্টের কমেন্টে মোরশেদ মাসুদ নামে একজন লিখেছেন , ‘অবশ্যই ক্লাস চালু করতে হবে অন্যথায় এ দায়ভার শিক্ষক সমিতিকে নিতে হবে। শিক্ষকরা নিজেরাই নিজেদেরকে বিপদের দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এর ফলাফল খুব একটা ভালো হবে বলে মনে করি না। সব অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা উৎকণ্ঠার মধ্যে আছেন। ছাত্র-ছাত্রীদের জীবন নিয়ে যারা খেলা করছে তাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে’। সব শেষে তিনি লিখেছেন, ‘বেশি ভালো ভালো না’।
একই পোস্টের মন্তব্যে শিক্ষক আতাউর রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করছি মেসেজটি শেয়ার করার জন্য, যেন ইন্টেরিমের কান পর্যন্ত পৌঁছায়। এভাবে একটি প্রতিষ্ঠান চলতে পারেনা। Enough is enough’.
শিহাব আহমেদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘Extremely sad, বাংলাদেশে এখন চাকরি-বাকরির যা অবস্থা, এক মাস দেরি করে পাস করাও স্টুডেন্টদের জন্য কল্যাণকর না’।
মোর্শেদ মাসুদ নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘স্যার আমি একজন অভিভাবক। ওইসব শিক্ষককে স্বেচ্ছাচারিতার দায় নিতে হবে’।
মোঃ আরমান সিদ্দিকী মন্তব্য করেছেন, রাজশাহী চিটাগাং রিজিয়নের স্টুডেন্টদের আর কুয়েটে আসার দরকার হবে না। They should easily choice RUET& CUET’.
আখতার হোসেন মন্তব্য করেছেন. Extremely sad’.
মোশারফ হোসেন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, উপাচার্য নিয়োগ, বিভিন্ন পক্ষের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনার উদ্যোগ সরকার ছাড়া তো কেউ নিতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ তো গণতান্ত্রিক নয়, সরকার তাকে আগ্রহ করে রাখার ক্ষমতা রাখে। ছাত্র-ছাত্রীদের উচিত শিক্ষকদের সাথে মতবিনিময় করে কিভাবে সংকট উত্তোলন করা যায় তার গণতান্ত্রিক উপায় বের করা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও শিবিরের রাজনীতি থাকবে আর বাকিদের থাকবে না এটা থেকে সংকটের সূত্রপাত।গণতান্ত্রিক সহাবস্থানের নীতি একমাত্র পথ। সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব।
মোশারফ হোসেনের ওই মন্তব্যের জবাবে শিক্ষক আতাউর রহমান লিখেছেন, The info you have is not true, try to get authentic info’.
খুলনা গেজেট/এইচ