রাত পোহালেই বৃহস্পতিবার ভারতে দেশব্যাপী সাধারণ ধর্মঘট। সর্বনাশা কৃষি বিল ও শ্রম সংস্কার আইন, বেসরকারীকরণের বিরুদ্ধে দশটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে । সতেরোটি বামদল ও কংগ্রস এই বনধকে পূর্ণ সর্মথন জানিয়েছে ।
চলতি বছরে ভারতে শ্রম সংস্কার আইন ও কৃষি আইন প্রণয়ন করার বিরুদ্ধে সমগ্র ভারতে শ্রমিক-কৃষক-ক্ষেতমজুরদের বিদ্রোহ ও অসন্তোষ বাড়ছে। প্রতিদিনই রাস্তায় নামছে শ্রমিক-কৃষক-ক্ষেতমজুর। আর এদের সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ, ছাত্র-যুব-মহিলা- সরকারি বেসরকারি কর্মচারিরাও।
আর এই বিদ্রোহ ও অসন্তোষের সবচেয়ে বড় প্রতিফলন ঘটবে ২৬ নভেম্বর দশটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনের ডাকা চব্বিশ ঘন্টার সাধারণ ধর্মঘটে। ওইদিন দেশব্যাপী সর্বাত্মক বনধ্ বা হরতাল পালিত হবে। এই ধর্মঘটকে নৈতিকভাবে সমর্থন দিচ্ছে ভারতের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল জাতীয় কংগ্রেস ও বামদলগুলি। যে দশটি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন এই সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে তারা হল আই এন টিইউসি (কংগ্রেস) , সিআইটিইউ (সিপিআইএম), এ আইটিইউসি (সিপিআই), টিইউসিসি (ফরওয়ার্ড ব্লক), ইউটিইউসি (আরএসপি), এ আইসিসিটিইউ (সিপিআইএমএল-লিবারেশন), এই আইইউটিইউসি (এসইউসিআই), ভারতীয় মজদুর ইউনিয়ন।
এছাড়া ভারতের কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারি কর্মচারি ইউনিয়নগুলি এই ধর্মঘটকে সমর্থন দেবে। অন্যদিকে কংগ্রেসসহ বামপন্থী ছাত্র-যুব-কৃষক ও মহিলা সংগঠনগুলি এই ধর্মঘটকে সমর্থন দেবে। তারাও রাস্তায় নামবে।
সিআইটিইউ- এর সাধারণ সম্পাদক অনাদি কুমার সাহু বলেছেন, সারা ভারতে শ্রমিক-কৃষক-শ্রমিকসহ সর্বস্তরের আশি কোটি মানুষ এই সাধারণ ধর্মঘটে সামিল হবেন। ওইদিন সর্বাত্মক বনধ পালিত হবে। প্রতিদিনই দেশব্যাপী শ্রমিক- কৃষক-ক্ষেতমজুররা রাস্তায় নেমে সর্বনাশা শ্রম সংস্কার আইন ও কৃষি আইনের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করছে দেশের কোণায় কোণায়।
খুলনা গেজেট/কেএম