কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতিতে আগামী বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। বুধবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আগামী বছর যাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেয়ার কথা রয়েছে, তাদের জন্য ‘তিন মাসে শেষ করা যায়’- এমন একটি সংক্ষিপ্ত সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে, তার আলোকে তিন মাস ক্লাস করিয়ে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে। সিলেবাস শেষ করতে পরীক্ষা দু’এক মাস পেছানো হতে পারে জানিয়ে তিনি বলেন, সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের আলোকে আমরা তাদের তিন মাস ক্লাস করাতে চাই। সে কারণে হয়তো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা দু’এক মাস পিছিয়ে যাবে।
বেশ কয়েক বছর ধরেই ১ ফেব্রুয়ারি থেকে এসএসসি এবং ১ এপ্রিল থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়ে আসছে। ওই দিনগুলো সরকারি ছুটি থাকলে পরের দিন থেকে এসব পরীক্ষা শুরু হয়। এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে নেয়া গেলেও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।পরীক্ষা বাতিলের ঘোষণা দেয়া হয়। অষ্টমের সমাপনী ও এসএসসির ফলের ভিত্তিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল নির্ধারণের কথা জানানো হয়। মহামারী পরিস্থিতির ততটা উন্নতি না হওয়ায় পঞ্চম ও অষ্টমের সমাপনী পরীক্ষা এবং স্কুলের বার্ষিক পরীক্ষাও এবার হচ্ছে না। পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীরা সবাই পরের ক্লাসে উঠে যাবে।
দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। এর ১০ দিন পর প্রথম মৃত্যু হয়। ১৭ মার্চ থেকে দেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ ছুটি ঘোষণা করা আছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি অনুকূল হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর এসএসসি ও এইচএসসির শিক্ষার্থীদের ছয় দিন ক্লাসে আনা হবে। অন্য শ্রেণির শিক্ষার্থীরা দুয়েক দিন স্কুলে এসে ক্লাস করবে, পাশাপাশি তাদের অনলাইন ক্লাসও চলবে।
খুলনা গেজেট/এনএম