খুলনা, বাংলাদেশ | ১৫ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদের বিরুদ্ধে পরিচালকদের অনাস্থা, চিঠি দেয়া হয়েছে ক্রীড়া পরিষদে
  নির্বাচন কমিশন ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা করে যে গেজেট প্রকাশ করেছে তা বাতিল করেনি আপিল বিভাগ, সাংবিধানিকভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের

“ভূমি অধিগ্রহণ সময়সাপেক্ষ নয়, এটা আন্তরিকতার বিষয়”

রুশাইদ আহমেদ

২০২৪ সালে জুলাই বিপ্লবের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সূতিকাগার হিসেবে লাইমলাইটে আসে ৭৫ একরের আয়তনবিশিষ্ট রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)। তবে কোনো ধরনের মাস্টারপ্ল্যান ছাড়া ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে প্রতিষ্ঠিত হওয়া “শহীদ আবু সাঈদের বিশ্ববিদ্যালয়” বলে সমাদৃত এই উচ্চ শিক্ষাঙ্গণটি আজও পায়নি সার্বিক উন্নয়নের স্বাদ। প্রায় দেড় যুগ পার হতে চললেও বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নেই শতভাগ আবাসন, টিএসসি, অডিটোরিয়ামের মতো সুবিধা। ফলে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন উদ্যোগ নিয়েছে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের। সে লক্ষ্যে শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বৈঠক। এরই ধারাবাহিকতায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন প্রসঙ্গে আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াছ প্রামানিক।

খুলনা গেজেট : আসসালামু আলাইকুম, স্যার। সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আশা করি ভালো আছেন। প্রথম প্রশ্নের ক্ষেত্রে বলতে চাই, সম্প্রতি বেরোবিতে মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের লক্ষ্যে বিশেষজ্ঞ টিম পরিদর্শন করেছে। শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে মতবিনিময় সভায় অংশ নিয়েছেন আপনারা। মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সার্বিক ভাবনা সংক্ষেপে তুলে ধরার অনুরোধ করছি।

ড. ইলিয়াছ প্রামানিক : ধন্যবাদ। আপনারা জানেন যে ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হলেও প্রথম দিকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিভাবকশূন্যতায় ভুগছিলেন। একটা সময় পর আমরা আমাদের অভিভাবককে পেয়েছি। আমাদের বর্তমান মাননীয় উপাচার্য মহোদয় যোগদানের পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প নিয়ে তিনি চিন্তাভাবনা করছেন। আমাদের যে প্ল্যানিং সেকশান রয়েছে, তাঁর সহায়তায় তিনি একটি মাস্টারপ্ল্যান দাঁড় করিয়েছেন। সেই মাস্টারপ্ল্যান ইতিমধ্যে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) জমা দেওয়া হয়েছে। সেটি পর্যালোচনা করার পর আমাদের এই প্রজেক্টটির ফ্লেক্সিবিলিটি স্টাডি করার জন্য ইতিমধ্যে একটা বরাদ্দ পেয়েছি। এখন সেই ফ্লেক্সিবিলিটি স্টাডি করার কাজ চলছে।
সে দিক থেকে আগামীতে কাজের জন্য আমাদের ১ হাজার ৯০ কোটি টাকা পাওয়ার কথা রয়েছে, তা নিয়ে আশার আলো দেখা যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে। আমরা আশা করছি ফ্লেক্সিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হলে বিষয়টির ওপর শীঘ্রই একটি রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। সেই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আমাদের বরাদ্দটি পাব।
এই বরাদ্দের দুটি অংশ রয়েছে। একটি হলো একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান এবং অন্যটি ইঞ্জিনিয়ারিং কিংবা ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ডেভেলপমেন্ট মাস্টারপ্ল্যান। আশা করা যায়, দ্রুতই আমাদের ফ্লেক্সিবিলিটি স্টাডি শেষ হওয়ার পর সফলভাবে আমরা রিপোর্ট জমা দিতে পারব। তাহলেই আমরা দ্রুত আমাদের মাস্টারপ্ল্যানের বরাদ্দগুলো পেয়ে যাব।

খুলনা গেজেট : ইনফ্রাস্ট্রাকচারাল ডেভেলপমেন্ট খাতে বরাদ্দের কথা বললেন আপনি। এর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহোদয়ও ইতিমধ্যে আমাদের জানিয়েছেন যে আসন্ন অর্থবছরে বেরোবি প্রায় ১ হাজার ৯ কোটি ১৫ লাখ টাকার বাজেট পেতে চলেছে। সেটি আসলে সুনির্দিষ্টভাবে কোন কোন খাতে ব্যয়ের পরিকল্পনা করা হয়েছে?

ড. ইলিয়াছ প্রামানিক : এ বিষয়ে বলতে আপনাদের জেনে রাখতে হবে যে, এটি আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি খাতে এখান থেকে বরাদ্দ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বা ছাত্রীদের জন্য আবাসিক হল নির্মাণ থেকে শুরু করে একাডেমিক ভবন সম্প্রসারণ কিংবা জিমন্যাশিয়াম স্থাপনসহ সব ক্ষেত্রে মাস্টারপ্ল্যান থেকে বরাদ্দ থাকবে।
পুরো একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান বলতে যা বুঝায় এটি হবে তাই। বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্ষেত্রসমূহের পাশাপাশি রেসিডেন্স সেকশানের বিভিন্ন ধরনের পরিকল্পনা আমরা এতে অন্তর্ভুক্ত করব। ওই পরিকল্পনা বা নকশাগুলোকে ভিত্তি করেই আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটা জায়গায় প্যারালেলি ডেভেলপ করব। ইন্ডিভিজ্যুয়ালি একটা ভবন বা স্থাপনা তৈরির জন্য তো মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়ন করা হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতের জন্যই এটা করা। অর্থাৎ এ ক্ষেত্রে ভাবার কোনো সুযোগ নেই যে আমাদের হয়তো হল হবে কিন্তু জিমন্যাশিয়াম হবে না; কিংবা জিমন্যাশিয়াম হবে কিন্তু হল হবে না। বিষয়টি এমন নয়। আমরা প্যারালেলি সব জায়গায় এটা নিয়ে কাজ করব। এবং এ কারণেই এটাকে মাস্টারপ্ল্যান বলা হচ্ছে।

খুলনা গেজেট : স্যার, হল বা একাডেমিক ভবনের সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে নানা কথা এরই মধ্যে শোনা যাচ্ছে। সে ক্ষেত্রে, হল বা একাডেমিক ভবন সংখ্যা বৃদ্ধির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নির্দিষ্টভাবে কোনো সংখ্যা নির্ধারণ করেছে?

ড. ইলিয়াছ প্রামানিক : এই বিষয়ে আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের অনুপাতের ওপর ভিত্তি করে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছি। আমরা আশা করছি, আমাদের শিক্ষার্থীদের রিকোয়ারমেন্ট অনুযায়ীই হল বা একাডেমিক ভবন নির্মাণের জন্য বরাদ্দ পাব।

খুলনা গেজেট : বেরোবিকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বর্তমানে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যার সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোর জন্য যে একাডেমিক কারিকুলাম রয়েছে, তা ক্যারিয়ার-অরিয়েন্টেড নয় বলে অভিযোগ আসছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বহুদিন ধরে। সেই দিক থেকে একাডেমিক মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের ক্ষেত্রে কারিকুলামের কোনো সংস্কার, পরিবর্তন ও পরিবর্ধনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ভাবছে?

ড. ইলিয়াছ প্রামানিক : ডেফিনিটলি। একটা কারিকুলামকে প্রতিনিয়ত আপডেট করা দরকার। আপনারা যে বলছেন আমাদের কারিকুলামের মধ্যে গ্যাপ এক্সিস্ট করে, তা আসলেই সত্যি। এ ক্ষেত্রে, ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিক অ্যাক্টিভিটিজের মধ্যে বেশ কিছু গ্যাপ রয়েছে। অথচ বাইরের বিশ্বে ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিক অ্যাক্টভিটিজের মধ্যে সম্পর্কটা অনেক নিবিড়। কিন্তু আমাদের ক্ষেত্রে তা না হওয়ায়, একাডেমিক্যালি শিক্ষার্থীরা যা শিখে যাচ্ছে তা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্ষেত্রে প্রয়োগে অনেক সময় লাগছে। এ কারণে একাডেমিক পড়াশোনা শেষেও শিক্ষার্থীরা ইন্ডাস্ট্রিতে যুক্ত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠতে পারে না। এ জন্য, অ্যাপ্লাইড সেকশানের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আমাদের একাডেমিক কারিকুলামগুলো দ্রুত আপডেট করা হবে৷ এবং এই আঙ্গিক থেকে সিলেবাস প্রণয়নের জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভাগগুলোকে আমরা নির্দেশনা দিব।

খুলনা গেজেট : আসন্ন মাস্টারপ্ল্যানের আওতায় যে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মযজ্ঞ শুরু হতে যাচ্ছে সেটির তুলনায় বেরোবির আয়তন অনেক কম। সে দিক হতে আরও ভূমি অধিগ্রহণ করা হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। সেটি আসলে কোন প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন করা হবে? এটি তো আসলে একটি সময়সাপেক্ষ বিষয়।

ড. ইলিয়াছ প্রামানিক : ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে এর আগে আমাদের এখানে যখন শিক্ষা উপদেষ্টার প্রতিনিধিরা এসেছিলেন, তখন তাদেরকে আমরা বলেছি। এ ছাড়া, আমাদের পাশে অবস্থিত বড় খাস জমিটি পাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে আমরা নানা ধরনের কার্যক্রম হাতে নিয়েছি। জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে আমরা বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করছি। আমাদের ভিসি মহোদয়ও বিষয়টি নিয়ে অত্যন্ত আন্তরিক। আমরা আশা করছি খুব দ্রুতই ওই জমিটুকু পাওয়া যাবে। এবং জমি পেলেই মাস্টারপ্ল্যানের ক্ষেত্রে ওই জমিটুকুকেও আমরা যুক্ত করব। আমাদের ক্যাম্পাসের একটা অংশ সেখানে সম্প্রসারিত হবে।
একটা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুকুর বা জলাশয়েরও দরকার আছে। কিন্তু আমাদের সে রকম জলাশয়ের কোনো জায়গা নেই। তাই আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে জায়গাটা পেলে হয়তো আমাদের পুকুরগুলো ওই দিকে খনন করব।
আর ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ নয়। এটি মূলত আন্তরিক সম্পর্কের প্রসঙ্গ। আমার কাছে মনে হয়, ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের বিভিন্ন রিপোর্টিংয়ের ওপর নির্ভর করে। যদি আমাদের উপাচার্য মহোদয় ওনার সঙ্গে খুব দ্রুত বসে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন, তবে প্রক্রিয়াটিকে সহজে সামনে এগিয়ে নেওয়া সম্ভব।

খুলনা গেজেট : তাহলে স্যার আমরা কি বলতে পারি ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে না?

ড. ইলিয়াছ প্রামানিক : না। ভূমি অধিগ্রহণের বিষয়টি মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের কোনো বাধা সৃষ্টির সুযোগ পাবে না। কারণ আমাদের যে ভূমি রয়েছে, এর ভেতরেই আমরা অনেক প্ল্যান করতে পারব। তবে আপনারা জানেন যে আমাদের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে মাত্র ২০০ কোটি টাকার বাজেট পেয়েছে। এই একই সময়ে অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা যদি বিবেচনা করেন, যেমন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা ভাবুন। তাঁরা ৮০০ কোটি টাকার ওপরে বরাদ্দ পেয়েছে। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পেয়েছে ১৬০০ কোটি টাকা। তাই আমাদের যে ভূমি রয়েছে তা নিয়েই আমরা এ ধরনের বরাদ্দ পাওয়ার দাবি রাখি। এর সঙ্গে যদি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়তনকে আরও সম্প্রসারিত করতে পারি সেটা তো অবশ্যই আমাদের জন্য ভালো হবে। এ কারণে, বিষয়টি আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছি।

খুলনা গেজেট : স্যার, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু বড় বড় উন্নয়ন প্রকল্প দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে অসমাপ্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা গেছে। ড. ওয়াজেদ মিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের একটি অংশ দাবি করছে, আসন্ন সকল প্রকল্পের জন্য “আর্মি হবে ঠিকাদার”৷ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময়েও আমরা এ ধরনের স্লোগান শুনতে পেয়েছি। বিষয়টিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কতটা যৌক্তিক মনে করছে এবং এটি বাস্তবায়নের কোনো পরিকল্পনা আছে কি-না?

ড. ইলিয়াছ প্রামানিক : হুম। “আর্মি হবে ঠিকাদার” এই বিষয়টি অবশ্যই ভালো। কারণ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টে আর্মি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করছে। এ ছাড়া, আরও অনেক জায়গায় তাঁরা স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করছে৷ তাই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে কাজ করতে গেলে যদি এটা করতে হয় তবে সে ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি আমাদের উপাচার্য মহোদয়কে জানাবে। আমাদের বর্তমান মাননীয় উপাচার্য স্যার দুর্নীতি বা অনিয়মের ক্ষেত্রে সবসময় জিরো টলারেন্স। তিনি কখনো দুর্নীতিকে সহ্য করেননি এবং কখনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেননি। এবং ওনার স্বচ্ছ নিয়ত আছে বলেই আমাদের এই মাস্টারপ্ল্যান প্রণয়নের প্রক্রিয়া এগিয়ে যাচ্ছে। আমি মনে করি, আমরা একটা বড় খারাপ সময় পার করেছি। অতীতে আমাদের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বেশ কিছু দুর্নীতির অভিযোগ থাকায় আমাদের সামনে অগ্রসর হওয়ার পথে প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হয়েছে।
তাই আমরা মনে করি, ৫ আগস্টের পর আমাদের যে নতুন প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে, তার সূত্র ধরে আমাদের উপাচার্য মহোদয় অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে মাস্টারপ্ল্যান তৈরির প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। এবং আমরা আশা করছি ঠিকাদারির দায়িত্ব আর্মি কিংবা সিভিল যাকেই দেওয়া হোক না কেন, এই প্রশাসনের হাত ধরে কোনোরূপ দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যাবে না।

খুলনা গেজেট : সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ।

ড. ইলিয়াছ প্রামানিক : আপনাকেও ধন্যবাদ।

খুলনা গেজেট/এমএনএস




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!