Edit Content
খুলনা বাংলাদেশ
বুধবার । ২৩শে জুলাই, ২০২৫ । ৮ই শ্রাবণ, ১৪৩২

ই-পেপার

Edit Content

নড়াইলে ছয়দিন ধরে নিখোঁজ ছাত্রদলকর্মী রাকিব

নড়াইল প্রতিনিধি

নড়াইল সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের বেতেঙ্গা গ্রামের নিজ বাসা হতে ডেকে নিয়ে যাওয়ার পর ছয়দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন রাকিবুল ইসলাম রাকিব (২৫) নামের এক ছাত্রদলকর্মী।

নিখোঁজ যুবক নড়াইল পৌরসভার দূর্গাপুর গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ২০ মে বিকেলে নড়াইল সদরের বেতেঙ্গা গ্রামের নিজ বাসাতেই রাকিব অবস্থান করছিল। এদিন বিকাল ৪ টা ৪৫ মিনিটের দিকে নড়াইল পৌরসভার বরাশুলা গ্রামের বাসিন্দা ও নড়াইল জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বাচ্চু ওরফে বাচ্চু কমিশনারের ছেলে সজল তাকে ফোন দেয়। সজল তাকে বরাশুলায় আসার জন্য বলে এবং রাকিবকে এগিয়ে আনার জন্য পৌরসভার মহিষখোলার রবিউল খান ওরফে রবি খানের ছেলে জাহিদ খানকে পাঠায়। এরপর রাকিবের ছোটভাই মেহেদী জাহিদ খানের নিকট রাকিবকে এগিয়ে দিয়ে আসে। এরপর থেকেই রাকিব নিখোঁজ আছেন।

এ বিষয়ে রাকিবের স্ত্রী কবিতা খান জানান, এদিন রাকিব চলে যাওয়ার কিছুসময় পর রাকিবের বন্ধু ও দূর্গাপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা শাকিল তার গার্লফ্রেন্ডকে নিয়ে আমাদের বাড়ি আসে। এসময় রাকিব ফোন দিয়ে বলে শাকিল আমাদের বাসায় ২-৩ দিন থাকবে। তবে শাকিল কিছুসময় আমাদের বাসায় বসে ছিল। পরে খুলনায় যাওয়ার কথা বলে সে চলে যায়। এদিকে রাতে রাকিব আর বাসায় ফিরে আসেনি। সারারাত তাকে ফোন দিলে সে ফোন রিসিভ করেনি। আবার মাঝেমধ্যে সজল নামে ওই ছেলেটি ফোন রিসিভ করে আমাকে হুমকি দিয়ে বিভিন্ন কথা বলতে থাকে।

তিনি আরও বলেন, এদিকে ওইদিন রাত আড়াইটার দিকে আমি রাকিবের বন্ধু শাকিলকে ফোন করে রাকিবের বিষয়ে জানতে চাই। এসময় সে বলে,আজ রাতে রাকিবের অনেক বড় সমস্যা হবে। পারলে তুই তারে বাঁচাস। পরে ২২ মে দুপুরের পর রাকিবের নাম্বার থেকে অভিযুক্ত সজল ফোন করে পাঁচ লাখ টাকা দিলে রাকিবকে ফেরত দেওয়া হবে বলে জানিয়ে ফোন কেটে দেয়। এরপর ফোন বন্ধ করে রাখে। পরেরদিন ১০ হাজার টাকা নিয়ে সজল বরাশুলায় তার নিজ বাড়িতে আমাকে একা যেতে বলে ৷ এসময় আমরা পুলিশ নিয়ে সজলের বাড়িতে গেলেও সজলকে পাইনি। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত রাকিবের কোনো সন্ধান নেই।

তিনি জানান, কিছুদিন আগে শহরের ঘোড়াখালীর বাসিন্দা ও রাকিবের বন্ধু তাজু রাকিবকে সাজলের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। এরপর রাকিব মাঝেমধ্যে সজলের সাথে চলাফেরা করতো।

এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, আমরা নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানের জন্য সদর থানার কয়েকজন কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিয়ে রেখেছি। তারা বিষয়টি দেখছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার থানায় জিডি করলে তা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন