বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় গণতান্ত্রিক ধারাই সকল সংস্কার কাজ করতে পারবে উল্লেখ করে বলেছেন, সংবিধান সংশোধন করা নির্বাচিত জাতীয় সংসদ ছাড়া সম্ভব না। সংবিধানের জনবিরোধী ধারা নির্বাচিত সংসদের মাধ্যমে সংশোধন করতে হবে। দেশের মানুষ গণতন্ত্র চায়, তারা কথা বলতে চায়। ১৭ বছর যা ছিল তা গণতন্ত্র বলা যায় না, ফ্যাসিবাদের উদাহরণ হয়েছে। স্বৈরতন্ত্রের চেয়ে ভয়াভয় রূপ ধারণ করেছে। সুতারাং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক অবাধ নির্বাচন সমস্যার সমাধান করতে পারবে। নির্বাচনের মাধ্যমে যে সংসদ হবে, তারাই ইউনূস সাহেরে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেল সোয়া ৫টায় খুলনা প্রেসক্লাবের ব্যাংকুয়েট হলে খুলনা বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন ও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, মহানগর সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, বাগেরহাট জেলা আহ্বায়ক আকরাম হোসেন তালিম, সদস্য সচিব মোজাফফর আলম, সাতক্ষীরা জেলা আহবায়ক রহম উল্লাহ পলাশ, সদস্য সচিব আবু জাহিদ ডাবলু, যশোর জেলা সভাপতি অ্যাডেভোকেট সাবিরুল হক সাবু, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন খোকন, নড়াইল জেলা সদস্য সচিব মনিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলার আহবায়ক এড. এম এ মজিদ, কুষ্টিয়া জেলা সদস্য সচিব জাকির হোসেন সরকার, মেহেরপুর জেলা সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আমিরুল ইসলাম, সদস্য সচিব এড. কামরুল ইসলাম, মাগুরার আহবায়ক আলী আহমেদ, সদস্য সচিব মনোয়ার হোসেন, খুলনা জেলা আহবায়ক মনিরুজ্জামান মন্টু, কেন্দ্রীয় সদস্য তরিকুল ইসলাম পিঞ্জিং, এড. মোমরেজুল ইসলাম, সৈয়দা নার্গিস আলী প্রমূখ।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মহানগর সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন।
প্রধান অতিথি খুলনা মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন ও ৫ জন তরুণ সদস্যের ফরম পূরণের মধ্য দিয়ে খুলনা বিভাগীয় সদস্য নবায়ন ও নতুন সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।
বিএনপি নেতা গয়েশ্বর রায় আরো বলেন, ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। তেমনটি এখন নেই। কেউ বলছে সংস্কার, কেউ বলছে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন। আগামী নির্বাচনে আগে আমাদের কঠিন সময় পার করতে হবে। সদস্য পদ সংগ্রহ ও নবায়নের মাধ্যমে এ কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। সীমান্তে মানবিক করিডোর দেওয়ার মাধ্যমে অস্ত্রচালানের রুট হবে মন্তব্য করে এই নেতা বলেন, করিডোরের মাধ্যমে অস্ত্র যাবে। আরাকান আর্মিরা শক্তিশালী হবে। আমাদের স্বাধীনতা হুমকিতে পড়বে। হাসিনার সময়তো এমন করিডোরের কথা আসেনি। তাহলে সংশয় আছে। তবে আমরা সন্দেহ করতে চাইনা।
বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, ‘আমরা এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে চাইনা। নির্বাচনের কথা বললে তারা সময় লাগবে বলছেন। কত সময় লাগবে। জুন না ডিসেম্বর পরিস্কার করে বলুন। ক্ষমতার মালিক জনগণ। জনগণ কাকে ক্ষমতায় বসাবে জানিনা। ড. ইউনূস! আপনার চালাকি সবাই বোঝে, আপনি বোঝেন না।’ ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ বিরোধীরা স্বাধীনতা অস্বীকার করছে বলে মন্তব্য করেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ৭১’র ১৬ ডিসেম্বর আমাদের মূল চেতনাবোধ। আর জামায়াত এটাকে বলে পাকিস্তান ভাগ, এটা তাদের ঔদ্যত্ত।’
খুলনা গেজেট/এমএনএস